Homeজাতীয়বিনা মূল্যের লবণে স্বস্তি চামড়া ব্যবসায়ীদের

বিনা মূল্যের লবণে স্বস্তি চামড়া ব্যবসায়ীদের

[ad_1]

আসন্ন কোরবানির ঈদে চট্টগ্রামে ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। কাঁচা চামড়ার দাম কিছুটা বৃদ্ধি ও সরকারের বিনা মূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহে এবারে চামড়া সংগ্রহে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন জানান, গত বছর কোরবানির ঈদে প্রায় ৩ লাখ ৬১ হাজার পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়েছিল। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৭ হাজার ১৫০টি ছিল গরুর চামড়া। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদে আমরা ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের টার্গেট করেছি।’

মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে টাকা পাওনাসহ নানা কারণে চট্টগ্রামে আড়তদারের সংখ্যা কমে গেছে। আগে প্রায় ২৫০ জন আড়তদার চামড়া সংগ্রহ করতেন। গত কয়েক বছরে তা কমতে কমতে ২০-৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এত অল্প আড়তদারের পক্ষে বেশি চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।

গত বছরের তুলনায় লবণের দাম কম থাকায় এবং জেলা পর্যায়ে (মাদ্রাসা ও এতিমখানায়) সরকার বিনা মূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করায় অনেকটা স্বস্তিতে থাকার কথা বললেন আড়াতদার সমিতির এই নেতা।

চট্টগ্রামের একমাত্র ট্যানারি রিফ লেদার লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড সেলস) মোখলেসুর রহমান বলেন, কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে চামড়া শিল্পে ভালো ব্যবসা যাচ্ছে না। সারা বছরের মোট সিংহভাগ চামড়াই সংগ্রহ হয় কোরবানির ঈদে। কিন্তু এই চামড়া শিল্পের দুর্দিনে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ফলে এই অবস্থায় শিল্পটিকে বাঁচাতে শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এ বছর ঢাকায় গরুর লবণযুক্ত চামড়ার প্রতি বর্গফুটের দাম গত বছরের তুলনায় ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এ বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০-৬৫, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫-৬০, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। এ ছাড়া গত বছরের চেয়ে ২ টাকা বাড়িয়ে সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২-২৭ এবং বকরির চামড়ার দাম ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির আহ্বায়ক আবদুল জলিল বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামটি সংরক্ষণের পরের দাম—যা অনেক কোরবানিদাতা কিংবা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বোঝেন না। তাঁরা মনে করেন সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আড়তদারেরা চামড়া কিনবেন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ট্যানারি মালিকেরা চামড়া কেনার সময় ২০ শতাংশ কর্তন করে চামড়া কিনে থাকেন। আবার সব চামড়া চট্টগ্রামে বিক্রি হয় না। সে কারণে চামড়া ঢাকায় পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তাতে গাড়িভাড়া এবং অতিরিক্ত আড়ত খরচ বৃদ্ধি পায়।

আবদুল জলিল বলেন, গরমে চামড়া রেখে দিলে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ থাকবে, চামড়া সংগ্রহ করার পর যাতে লবণ দিয়ে রাখা হয় এবং নিজেদের কাছে রেখে না দিয়ে যাতে আড়তে নিয়ে আসা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে কাঁচা চামড়ার চাহিদা না থাকলে প্রয়োজনে চামড়া রপ্তানি করা যাবে। আগে চামড়া রপ্তানি-সংক্রান্ত যে বিধিনিষেধ ছিল, সেটি প্রত্যাহার করেছে সরকার। সেই লক্ষ্যে, কাঁচা চামড়া সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছর দেশের মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিনা মূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করেছে সরকার।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত