Homeজাতীয়বিপ্লবীদের বিজয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা !!

বিপ্লবীদের বিজয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা !!

[ad_1]

ফলোআপ নিউজ

দুর্নীতি মামলার দণ্ড থেকে মুক্ত হওয়ার আড়াই মাস পর অবশেষে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রথমে তিনি যুক্তরাজ্যে যাবেন। তার সঙ্গে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য দেশের বাইরে থেকে আনা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে। ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নতুনভাবে দেশ বিজয় লাভ করে। পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রদের রক্তবিজয়ের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে বিনা বাধায় বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও রাজনৈতিক নানা সিদ্ধান্তে তাকে বিদেশে নেয়া হয়নি।

 

 

 

 

যদিও দলটির শীর্ষ নেতাদের ভাষ্য ছিল— খালেদা জিয়ার শারীরিক দুর্বলতার কারণে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের মৃত্যু প্রতিযোগিতার বিজয়ের পর বিএনপি-জামায়াত থেকে শুরু করে সবাই লাভবান হয়েছে। যে খালেদা জিয়াকে নিয়ে শেখ হাসিনা বারবার কটাক্ষ করেছেন, সেই অসুস্থ খালেদা জিয়া আমাদের আন্দোলনের বিজয়ের পর মুক্তি পেয়েছেন। দলটির যেসব নেতা কারাগারে ছিলেন, তারাও বেরিয়ে মুক্ত বাতাসে। জামায়াতসহ অন্য যেসব দলের নেতারা বছরের পর বছর আত্মগোপনে ছিলেন, এখন তারা প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে ফিরেছেন। এটা অবশ্যই ছাত্র-জনতার রক্তস্রোতের বিজয়েরই ফসল।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার   বলেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে একজন নির্যাতিত নারী। তিনি বছরের পর বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে কারাগারে ছিলেন। তার লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হয়নি। গত ৩৬ জুলাই রক্তবন্যায় বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর  সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাজামুক্ত হলেন। শুনতে পাচ্ছি এখন তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন। আমি মনে করি এটা আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদেশ যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ বিজয়েরই সিগনেচার। এটা খালেদা জিয়া যেমন পেয়েছেন, দেশের নির্যাতিত সব নাগরিকও পেয়েছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে ভালো নেই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার আক্রোশের শিকার হয়ে বছরের পর বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। তার লিভার প্রায় ডেমেজ হয়ে গেছে। পায়ের বাতের ব্যথা কিছুদিন পরপরই বাড়ে। হার্ট সমস্যায়ও ঝুঁকিতে রয়েছেন। লিভার সমস্যার কারণে ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসে, বমি হয়। শরীরের একাধিক জটিল সমস্যার কারণে সব ধরনের ওষুধও প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। বারবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্লোজ মনিটরিংয়ে রেখে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার শারীরিক জটিলতা অনুযায়ী বাংলাদেশে সব ধরনের চিকিৎসা আর সম্ভব নয়। অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট পেতে হলে দেশের বাইরে নেয়া আবশ্যক। অন্যদিকে তার দল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে খালেদা জিয়ার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। খালেদা জিয়া যে কোনো সময় মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তার শরীরে বিষপ্রয়োগ হয়েছে কি না, সেটা পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন।

গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তাকে প্রথমে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখানে থেকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে আমরা যাতে অতিদ্রুত তাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি, সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তারই অংশ হিসেবে আমরা ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। গত সাড়ে চার বছরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৪৭৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ তথ্যও মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন নিশ্চিত করেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত