[ad_1]
দেশের ৬৪ জেলার ৬৪ উপজেলায় মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ মাটি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ মাটি পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে আগামী এক মাস (৫ জুন পর্যন্ত)। এ সেবায় ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার (ভ্রাম্যমাণ গাড়ি) গিয়ে কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করে দেবে। এতে কৃষকের ব্যয় হবে মাত্র ২৫ টাকা। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন।
মাটির সঠিক ব্যবহারের তাগিদ জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, মাটি ব্যবহার করে ফসল চাষ করলে কেমিক্যাল সারের ব্যবহার কমবে ও জৈব সারের ব্যবহার বাড়বে। তা ছাড়া ফসলের উৎপাদন বাড়বে।
জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের অনেক বীজ আছে, কিন্তু সেগুলো উৎপাদন না করে বরং বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। অথচ এগুলো আমরা উৎপাদন করতে পারি।’ তিনি চাষিদের আগাম ফসলের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বেগম সামিয়া সুলতানা বলেন, এ কার্যক্রম এক মাস কাজ করবে। মাটি সংগ্রহের জন্য প্রতি উপজেলায় ৫০ জন করে কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে এবার ৩ হাজার ২০০ জন কৃষকের মাটি পরীক্ষা করে দেওয়া হবে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের বর্তমানে ১০টি গাড়ি রয়েছে। এগুলো ৬৪ জেলার মাটি পরীক্ষায় ব্যবহার হবে। ৫ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত এক মাস সারা দেশে মাটি পরীক্ষা করা হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নূরুল হুদা আল মামুন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন প্রমুখ।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে দেশের ৪৯ জেলার ৫৬টি উপজেলায় মাটি পরীক্ষা করা হয়। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
[ad_2]
Source link