[ad_1]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামি অধিকার সংস্থা কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR) আজ এক তীব্র বিবৃতিতে গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বোমাবর্ষণকে ‘বর্বর ও যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। এই হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
CAIR-এর নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, “যাদের ভূমি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা হয়েছিল, সেই শরণার্থী শিবিরেই ইসরায়েল এখন তাদের নির্বিচারে হত্যা করছে। তাঁবুতে ঘুমিয়ে থাকা পরিবারগুলোকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে—যার অর্থ জোগাচ্ছেন মার্কিন করদাতারা। এটি এক ভয়াবহ ও মানসিক বিকারগ্রস্ত যুদ্ধাপরাধ।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এই বর্বরতা আর পৈশাচিকতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে—আর কত শিশু দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হবে, আর কত তাঁবু আগুনে পুড়বে, তারপর বিশ্ব চুপ থাকা বন্ধ করবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের বিবেক জাগবে কবে?”
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ইসরায়েলকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সাহায্য দিয়ে থাকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হামলা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র আরও বহু বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
CAIR-এর বিবৃতি এই যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানায় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি তোলে।
ফরিদ
[ad_2]
Source link