[ad_1]
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রথিতযশা ও সম্মানিত আইনজীবী এফ হাসান আরিফ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা। তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে এগিয়ে চলেছেন।
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক। এফ হাসান আরিফ, পূর্বে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে, নতুন ভূমিকায়ও একই ধারাবাহিকতা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি মনে করেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণই এই সরকারের পবিত্র দায়িত্ব। তার মতে, স্থানীয় সরকার এবং পল্লী উন্নয়নের মন্ত্রণালয়সমূহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি এলজিইডি (লোকাল গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট)-এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন যে, গত ১৬ বছরে অনেক প্রকল্পের পর্যাপ্ত মনিটরিং বা মূল্যায়ন হয়নি।
তিনি একটি সুনির্দিষ্ট রিপোর্টিং সিস্টেম চালু করেছেন, যেখানে তিন মাস অন্তর প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির তথ্য সংগ্রহ এবং উপস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর্থিক স্বচ্ছতা ও প্রকল্পের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও অর্থব্যয়ের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জনগণের সেবায় দ্রুতগামী এবং স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠায় তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের কাজকর্ম দ্রুততর করার লক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ভূমি মন্ত্রণালয়ে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে মানুষ ঘরে বসেই খাজনা জমা দিতে এবং রেকর্ড আপডেট পেতে পারেন।
যদিও পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন এখনো সম্পন্ন হয়নি, তিনি আশাবাদী যে, ধাপে ধাপে সকল সেবা ডিজিটাল মাধ্যমে পরিচালিত হবে। স্থানীয় পর্যায়ে ডিজিটাল সেবার প্রচলনে স্বচ্ছতা, দ্রুততা, এবং জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
এফ হাসান আরিফ প্রশাসনিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, জনগণ যাতে সঠিক ও সময়োপযোগী সেবা পায়, তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
[ad_2]
Source link