বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাণীতে তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিশ্বকবির অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। এশিয়া মহাদেশে প্রথম নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে ঔপন্যাসিক, কবি, সংগীতস্রষ্টা, কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, চিত্রকর ও দার্শনিক হিসেবে বিরল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর অনন্য সৃষ্টিকর্মে গভীর জীবনবোধ এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মনিবেদন মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে আন্দোলিত করে। তাঁর রচিত গান আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত।’
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘তাঁর সৃষ্টিতে চিরাচরিত ধারার বাইরে স্বাতন্ত্র্যবোধের পরিচয় সুস্পষ্ট। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সমাজচিন্তা এবং বিশ্বভাবনায় এই স্বাতন্ত্র্যবোধ তাঁর বিশাল সাহিত্য-সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে বাংলা ভাষাভাষীর মানসলোক নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বাংলা ভাষাভাষীরা কবির জন্মদিবসটি উদ্যাপন করে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও পরম শ্রদ্ধায়।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অনন্য সৃষ্টিতে একদিকে যেমন মানুষের মূঢ়তা, স্থবিরতার বিপন্ন ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন, অন্যদিকে তিনি অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর সব অচলায়তন ভেঙে বিশ্বের অগ্রসর জাতিসমূহের কীর্তিময় অর্জনগুলোকে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আবার বাংলা ভাষী জনগোষ্ঠীর অনিন্দ্যসুন্দর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উপাদানসমূহ এবং মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ সুর ও বাণীর অনন্য ব্যঞ্জনায় ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর প্রতিভাদীপ্ত সৃষ্টিকর্মে।’
বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকীতে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী আখ্যা দিয়ে বাণীতে তিনি বলেছেন, ‘অমর সৃষ্টির তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। বাংলা ভাষার অগ্রণী কবি রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই ছিলেন না; তিনি ছিলেন সমাজ, রাজনীতি, দর্শন ও সামাজিক সম্প্রীতির এক অনবদ্য রূপকার। তাঁর সাহিত্যকর্মে শান্তি, মানবতা, মহত্ত্ববোধ ও পরমতসহিষ্ণুতার বাণী যুগে যুগে মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে যাবে, তাই তাঁর সৃষ্টিকর্ম জাতীয়তার গণ্ডি পেরিয়ে দেশ-দেশান্তরে হয়ে উঠেছে কল্যাণের প্রেরণা। মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম ও দেশপ্রেম তাঁর লেখনীর প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে। আজও আমরা সবাই তাঁর লেখনী দ্বারা উদ্বুদ্ধ।’
ফখরুল বলেন, ‘তাঁর (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) রচনায় একদিকে যেমন সমাজচেতনা ও মানবপ্রেমের শাশ্বত বাণী বিধৃত হয়েছে, অন্যদিকে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার সাহস জুগিয়েছে। শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা মানুষকে চিরকাল মানবপ্রেম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’