Homeজাতীয়রাজধানীতে প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল হবে শিগগির: আসিফ নজরুল

রাজধানীতে প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল হবে শিগগির: আসিফ নজরুল

[ad_1]

ঢাকার গুলশানে শিগগির প্রবাসীদের জন্য একটি আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এই হাসপাতাল বিদেশফেরত প্রবাসীদের উদ্যোগে পরিচালিত হবে এবং শেয়ার কেনার মাধ্যমে প্রবাসীরা এর মালিকানাও লাভ করবেন।

আজ বুধবার প্রবাসীকল্যাণ ভবনের প্রবাসী মিলনায়তনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আসিফ নজরুল এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি, অসুস্থ প্রবাসীদের চিকিৎসা সহায়তা, প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রবাসে মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান ও বিমার চেক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, সরকার প্রবাসীদের কল্যাণ, অধিকার ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসীদের কারামুক্ত করতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ প্রচেষ্টা ছিল এবং প্রত্যাবর্তনের পর তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, বছরের পর বছর প্রবাসীরা বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন। এখন সেখানে নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় তা অনেকটা কমেছে।

আসিফ নজরুল জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘প্রবাসী লাউঞ্জ’ স্থাপন করা হয়েছে, যা গত ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার, ফ্রি ওয়াই-ফাই, টেলিফোন, মোবাইল চার্জিংসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। প্রবাসীদের জন্য প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কেও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে।

প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফেরে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আগে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে ভাড়া লাগত, এখন তা সম্পূর্ণ ফ্রি। আরও দুটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স কেনার কার্যক্রম চলমান বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা জানান, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারে ৫০ শয্যার ডরমেটরিকে উন্নীত করে ২০০ শয্যার একটি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলাপর্যায়ে স্থাপিত ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারগুলোকে প্রবাসী কমপ্লেক্সে রূপান্তর করে সেখানে ভাষা শিক্ষা, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করা হবে।

এ ছাড়া ‘প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার’ আরও কার্যকর করা হয়েছে এবং ঢাকায় স্থাপন করা হয়েছে ‘প্রবাসী সাপোর্ট সেন্টার’, যেখানে সরাসরি সেবা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ১২টি পরিবারকে ৩৬ লাখ টাকা অনুদান, ৬৫ জন শিক্ষার্থীকে ২১ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি, ১১ জনকে ১ কোটি ৪ লাখ টাকার বিমা, দুটি পরিবারকে ২৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ও সার্ভিস বেনিফিট, তিনজনকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার চিকিৎসা সহায়তা এবং ১০ জনকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার প্রতিবন্ধী ভাতা দেন। মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ১৩ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত