[ad_1]
রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা শাস্তি দেওয়ার বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধিত) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর গতকাল শনিবার লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই অধ্যাদেশ জারি করে। আজ রোববার অধ্যাদেশটি প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশোধিত অধ্যাদেশে ‘সংগঠনের জন্য শাস্তি ইত্যাদি’ শিরোনামে ২০ (বি) নামে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই আইনে বা বর্তমানে কার্যকর অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ৩ ধারা উপধারা (২)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, নির্দেশ দিয়েছে, উদ্যোগ নিয়েছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, প্ররোচনা দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহায়তা বা অন্য কোনোভাবে অংশগ্রহণ করেছে; তবে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার, তার নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করার এবং তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা রাখবে।’
অধ্যাদেশে ‘সংগঠন’-এর সংজ্ঞা যুক্ত করে বলা হয়েছে, ‘সংগঠন’ বলতে এমন কোনো রাজনৈতিক দল, বা ওই দলের অধীনস্থ, অনুমোদিত বা সংশ্লিষ্ট কোনো সত্তা বা এমন কোনো ব্যক্তিদের দলকে বোঝানো হয়, যা ট্রাইব্যুনালের মত অনুযায়ী, ওই দল বা সত্তার কার্যক্রম প্রচার করে, সমর্থন করে, অনুমোদন করে, সহায়তা করে বা তাতে জড়িত থাকে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সমমনা দলগুলো। আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার না হওয়া দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
[ad_2]
Source link