Homeজাতীয়শিল্পের ক্ষুধা নিয়ে “হাংরি ফিল” আসছে জাতীয় মঞ্চে

শিল্পের ক্ষুধা নিয়ে “হাংরি ফিল” আসছে জাতীয় মঞ্চে


ক্ষুধা শুধু শরীরের প্রয়োজন নয়, কখনো কখনো তা হয়ে ওঠে শিল্পের প্রেরণা, অস্তিত্বের আর্তনাদ। সেই ক্ষুধার গল্প নিয়েই জাতীয় মঞ্চে আসছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “হাংরি ফিল”ফ্যাতাড়ু ফিল্ম নিবেদিত এবং তরুণ নির্মাতা আহনাফ সাবিত পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি নির্বাচিত হয়েছে চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫-এ প্রদর্শনের জন্য।

“হাংরি ফিল” প্রদর্শিত হবে ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, বিকেল ৫টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে।

এটি নির্মাতা আহনাফ সাবিতের প্রথম চলচ্চিত্র হলেও এতে ফুটে উঠেছে এক গভীর জীবনচেতনা, সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাপন এবং শিল্পের প্রতি এক অবিচল দায়বদ্ধতা। নিজের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ থেকে উৎসারিত এই সিনেমা নির্মাণের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আহনাফ সাবিত বলেন:

“হাংরি ফিল আমার প্রথম ছবি। তবে আপামর জনসাধারণের জন্য নয়, বরং এটা আমি বানাইছি আমার চারপাশের মানুষদের জন্য—যারা কবিতা লেখে, ছবি আঁকে, সিনেমা বানায়। যাদের যাপিত জীবনে ক্ষুধা শুধু পেটের নয়, শিল্পের ক্ষুধাও। আমি তাদের খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম, আর সেই খোঁজ থেকেই এই সিনেমা।”

তিনি আরও বলেন,

“সুন্দরবনের মতো জায়গায় থেকেও যারা বুক চিতিয়ে শিল্পের পতাকা উড়ায়, তাদের উদ্দেশেই আমার এই ছবি। অনেক আগে এক স্বপ্ন দেখছিলাম—একটা প্রজেক্টর কাঁধে নিয়ে ঢাকার প্রতিটি রিকশাপট্টিতে আমার ছবি দেখাবো। সেই স্বপ্ন থেকেই শুরু আমার এই যাত্রা।”

চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যেই আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে এর বাস্তবধর্মী চিত্রায়ন ও সাহসী বিষয়বস্তুর জন্য। রিকশাওয়ালা, শিল্পী, লেখক, প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষের অন্তর্গত ক্ষুধা ও শিল্পের টানাপোড়েন এতে গভীরভাবে উঠে এসেছে। আহনাফের ভাষায়, এটি “ক্ষুধা উদযাপনের গল্প”।

চলচ্চিত্র উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাচিত ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। তবে “হাংরি ফিল”-এর মতো কাজ ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম মুভমেন্টকে এক নতুন মাত্রা দেয়, সাহসী করে তোলে তরুণ নির্মাতাদের।

এসএফ





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত