Homeজাতীয়শিল্প-কারখানার পরিস্থিতি জানতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি হবে

শিল্প-কারখানার পরিস্থিতি জানতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি হবে

[ad_1]

দেশের শিল্প-কারখানার সার্বিক পরিস্থিতি জানতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ওই কমিটির সুপারিশে কোনও কারখানা চালু রাখার কোনও বাস্তবতা না থাকলে তা বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান।

বুধবার (২০ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এর আগে, সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারের দায়িত্বের শুরুর দিকে শ্রম অঞ্চলে অনেক বেশি অসন্তোষ ছিল জানিয়ে এক প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা প্রায় প্রত্যেকটি দাবি অ্যাড্রেস করার মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে এসেছি। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতন না দিলে শ্রমিকরা বসে থাকবে না। এটা স্বাভাবিক। বেক্সিমকো গ্রুপের দুই মাসের বেতন সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তবে এভাবে চলতে থাকবে- আমরা সেটা চাই না। আমরা একটা স্থায়ী সমাধানে যেতে চাই। এজন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি সার্বিক বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা দেবে।

তিনি বলেন, অনেকগুলো কারখানা আছে যেগুলো চলমান রাখার কোনও বাস্তবতা নেই। তাদের অর্ডার নেই। রফতানি নেই। সেখানে শ্রমিকদের রেখে অন্তহীন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যেগুলো সম্ভব নয়, তার হিসাব-নিকাশ করে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণসহ পাওনা মিটিয়ে সেগুলো বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। কমিটি এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দেবে।

মুজিববর্ষের ব্যয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এই ব্যয়টা আমরা আর কন্টিনিউ করবো না। এটা তো শুধু মুজিববর্ষের অপচয়। আপনি দেখবেন মুজিব স্কয়ার করে লক্ষ লক্ষ বর্গফুট জায়গা নষ্ট করা হয়েছে। সেই জায়গার ও স্ট্যাচু বানানোর মূল্য দেখলে তা লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে।

ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টারা

ছাত্র আন্দোলন প্রশ্নে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, এর আগে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছিল। তাদের সঙ্গে আমি ও আমাদের শিক্ষা উপদেষ্টা আলোচনা করেছিলাম। একটা ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হয়েছিল। এবং সেখানেই বিষয়টির শেষ হয়েছিল। সমাধানের পথ দেখানো হয়েছিল। আপনারা জানেন এত দ্রুত এ ধরনের দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আবার নতুন করে তিতুমীর কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে তা দু:খজনক। আমরা দেখেছি, কীভাবে ট্রেনের ভেতরে পাথর ছুড়ে হয়েছে। একটা বাচ্চার মাথা পর্যন্ত ফেটে গিয়েছে। যদিও উনারা বলেছেন, এটা অনুপ্রবেশকারীদের কাজ। আপনারা যেটা বললেন, আজকেও ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু এখনও আমরা স্পষ্ট নই- কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে আমরা প্রয়শই এ ধরনের ঘটনা দেখে থাকি। এক্ষেত্রে ছাত্রদের প্রতি আহ্বান থাকলো যে কোনও ধরনের উসকানির মধ্যে না পড়ে যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার নাগরিক দায়িত্ব যেন আমরা পালন করি।

উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ছাত্ররা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা সাধারণ জনগণ সবাই মিলে একটি গণঅভ্যুত্থান করেছি। ছাত্রদের ভেতরে এখনও অনেক আকাঙ্ক্ষা আছে। দাবি-দাওয়া আছে। তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে দরকার আন্তরিক থাকা। তাদের প্রতি আহ্বান আপনারা আসেন কথা বলেন। কথা বলে আমরা চাইলে সমস্যার সমাধান করতে পারি। আপনারা দেখেছেন অনেকগুলো বিষয়ের ক্ষেত্রে সমাধান এসেছে। সরকার কথা শুনেছে। আন্দোলনকারীদের প্রতি আমরা বারবারই আহ্বান জানাচ্ছি উসকানি বা নেতিবাচক এনার্জি না দেখিয়ে যথাযথ মাধ্যমে এসে সরকারের সাথে কথা বলেন। সরকার সকলের কথা শুনতে ইচ্ছুক। ছাত্ররা যেহেতু একটি গণঅভ্যুত্থান সফল করতে পেরেছে। আমরা মনে করি, তারা একটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।

এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রদের বিষয়ে আলোচনা করে দাবি-দাওয়া জানানোর একটি সিদ্ধান্ত এসেছিল। কিন্তু সেটাও কার্যকর করা যায়নি। জনভোগান্তি যেন না হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটাও শোনা হচ্ছে না। যেকোনও দাবিতে জনমানুষকে জিম্মি করে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি করে মানুষকে অসহনীয় ভোগান্তির মধ্যে ফেলে… একটা কলেজকে রাতারাতি বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে ফেলার জন্য সারা রাজধানীর মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলা— কতটুকু সমীচীন তা ছাত্রদের ভেবে দেখার অনুরোধ করবো। 

কমিশন গঠন একটি ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আগামীতে শিক্ষাসহ আরও কিছু কমিশন গঠন হতে পারে। এই মুহূর্তে বেশি কমিশন করা হলেও বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সব কিছুই চিন্তা করেই বলা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, সংবিধান কমিশনে কোনও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি না থাকলেও তাদের মতামত নেওয়া হয়েছে। আগামীতেও তাদের আরও মতামত নেওয়া হবে। অন্যান্য কমিশনগুলোতেও নৃ-গোষ্ঠী ও নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। কমিটিগুলো একচেটিয়াভাবে হয়নি। অন্তর্ভুক্তিমূলক করার চেষ্টা করা হয়েছে।

সংবিধান সংস্কার কমিটি ব্যাপকভাবে পরামর্শ গ্রহণ করছেন বলে আসিফ নজরুল জানান।

জেনেভায় সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না উল্লেখ করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এটা আপাতত বাদ রাখেন। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, এখানে নতুন কিছু যুক্ত করতে চাই না। আর এটা ব্যক্তি আসিফ নজরুলের ওপর হামলা হয়নি। হয়েছে সরকারের একজন উপদেষ্টার ওপরে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত