Homeজাতীয়‘সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করলে দিল্লির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আন্দোলন হবে’

‘সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করলে দিল্লির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আন্দোলন হবে’

[ad_1]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলছেন, ভারত সাম্রাজ্যবাদী আচরণ জারি রাখলে তাদের এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়া হবে। সোমবার (২ ডিসেম্বর)  আগরতলায় বাংলাদেশে দূতাবাসে ভারতীয় নাগরিকদের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন একযোগে বিক্ষোভ-মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশ করে।

মিছিল অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা “আমরা কি চাই? আমরা কী চাই? আজাদী! আজাদী!”, “গোলামী না আজাদী? আজাদী! আজাদী!”, “বাংলাদেশ! বাংলাদেশে! আজাদী! আজাদী!”, “আপোষ না সংগ্রাম? সংগ্রাম! সংগ্রাম!”, “হাইকমিশনে হামলা কেন? দিল্লি তুই জবাব দে!”, “আগরতলায় হামলা কেন? দিল্লি তুই জবাব দে!”, “একশন! একশন!, ডাইরেক্ট একশন!”, “ভারতীয় আগ্রাসন! রূখে দাও জনগণ!” ইত্যাদি শ্লোগান দেয়।

একযোগে বিক্ষোভ-মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

সমাবেশে আরিফ সোহেল বলেন, আমাদের লড়াইকে ধর্মীয় লড়াই নামে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা একটি অখণ্ড ভ্রান্ত ধারণা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যেটির অস্তিত্ব আদতে কখনোই ছিল না। তারা বাংলাদেশের জনগণের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন-রিয়া গোপ, হৃদয় তরুয়ারা। আমরা সবাই বাংলাদেশের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ। আমরা কোনও আগ্রাসন চালাতে দেব না। আমাদের শরীরে যতক্ষণ একবিন্দু রক্ত রয়েছে ততক্ষণ আমরা ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।

এ সময় তিনি ভারতের জনগণের উদ্দেশে বলেন, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনও শত্রুতা নেই। আপনারা আমাদের প্রতিবেশি, আমাদের ভাই। তবে ভারত যদি বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী নীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে আমরা এই আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে বাধ্য হবো।

সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, আমরা আবারও রুখে দাঁড়াবো। বাংলাদেশে বসবাসকারী সবার পরিচয় এক ও অভিন্ন, আর তা হলো বাংলাদেশি। এখানে সংখ্যালঘু কার্ড খেলা চলবে না।

একযোগে বিক্ষোভ-মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারত আস্থা হারিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতকে বাংলাদেশিদের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া শেখাতে হবে না। ভারত জন্মের ইতিহাস আমরা জানি। পরের ইতিহাসও জানি। বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে দিল্লির দাসত্বের বাইরে। বাংলাদেশিরা এক ও ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশে সম্প্রীতি আগে থেকেই ছিল যা এখন আরও সুদৃঢ় হয়েছে। এই আন্দোলনে হৃদয়-তরুয়া শহীদ হয়েছেন। হিন্দুরা মাতৃভূমির রক্ষায় আওয়াজ তুলুন।

ঢাবি শিক্ষার্থী জয় পাল বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা দেখছি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা সবাই আগরতলা হামলার নিন্দা জানাই। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখি জগন্নাথ হলকে ভারতের দলাল বলা হয়। আমরা বাংলাদেশি, ভারতের পক্ষে না। আমরা এই ধরণের প্রচারণার নিন্দা জানাই।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফি বলেন, এটি আমার ক্যাম্পাস না। তবে হাসিনার বিরুদ্ধে, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে কোনও ক্যাম্পাস লাগে না। দিল্লি হাসিনাকে গিলতে পারতেসে না, ফালাইতেও পারতেছে না।

এসময় তিনি আরও বলেন, ভারতকে আর দাদিগিরি করতে দেওয়া হবে না। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক হবে চোখে চোখ রেখে। মনে রাখবেন, এটি নতুন বাংলাদেশ, কোনও সাম্রাজ্যবাদী আচরণ আমরা মেনে নেব না।

ঢাবি শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, জন্মের পর থেকেই আমরা দেখে আসছি আওয়ামী লীগ সরকার দিল্লির দালালি করেছে। এই সরকারের আমলে আমরা সীমান্ত হত্যার বিচার চাইতে পারি নাই। নদীর ন্যায্য হিস্যা পাই নাই।

বিক্ষোভ-মিছিল শেষে সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

দিল্লিকে আর আধিপত্য বিস্তার করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে কাফি আরও বলেন, আপনারা যদি মনে বাংলাদেশ নতজানু হয়ে থাকবে তাহলে ভুল করছেন। রক্তের একবিন্দু থাকা পর্যন্ত আমরা দিল্লির আধিপত্য মেনে নেব না।

ঢাবি শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, যোবায়ের হোসেন, আসাদ বিন রনি, বেগম বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া জাহিন আয়েশাসহ আরও অনেকে। 

 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত