[ad_1]
সৈয়দপুরে এস এ পরিবহনের মাধ্যমে পাচার হয়ে আসা প্রায় ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ হাজার পিস নেশাজাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এন্তাজুল ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে এস এ পরিবহন পার্সেল অফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
আটক এন্তাজুল সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া মুন্সিপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর উপ-পরিদর্শক এনামুল হক নিজে বাদী হয়ে তাকে সৈয়দপুর থানায় হস্তান্তর পূর্বক মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়, যা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে এস এ পরিবহন ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, এস এ পরিবহন পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে মাদকের এমন বড় চালান আসার খবর পেয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ওই পার্সেল অফিসে হানা দেয়নি। বরং সেখান থেকে মাল নিয়ে যাওয়ার পথে ভ্যানসহ বাহককে আটক করা হয়েছে, ফলে মাদকের মালিক এবং পরিবহন কোম্পানিকে আড়াল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকে ফেনসিডিলের বড় চালান আটক করা হলেও, মালিক এবং ওই পার্সেল সার্ভিসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এস এ পরিবহন পার্সেল সার্ভিসের সৈয়দপুর অফিসের ম্যানেজার মেহেদী হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদের অফিস থেকে ওই মাদক উদ্ধার করা হয়নি। বরং মাল নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত মাল চট্টগ্রামের কাজীর দেউরী থেকে পাঠানো হয়েছে, তবে এই মাল কার নামে বুকিং হয়েছে এবং কে পাঠিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নীলফামারীর উপ-পরিদর্শক এনামুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি তথ্য দিতে গড়িমসি করে বলেন, “থানায় এজাহার দায়ের করেছি, সেখান থেকে পরে নিবেন।” এস এ পরিবহন পার্সেল সার্ভিসের অফিসে কেন মাল আটক করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি নির্বিকার অবস্থায় থাকেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিন বলেন, মাদকসহ আটক আসামীকে সৈয়দপুর থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নীলফামারীর মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ একটি মাদক মামলা দায়ের করেছে।
এছাড়া, জানা গেছে যে, এস এ পরিবহনসহ বিভিন্ন পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে সৈয়দপুরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক আসছে। প্রায় প্রতিদিনই এমন চালান আসলেও, অজ্ঞাত কারণে পার্সেল সার্ভিসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় মাদক কারবারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এর ফলে, সৈয়দপুরে মাদকের ছড়াছড়ি বেড়েই চলেছে।
[ad_2]
Source link