Homeজাতীয়হাসনাত-সারজিসসহ সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা

হাসনাত-সারজিসসহ সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা

[ad_1]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাঁরা বিবেককে জাগ্রত করছেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এর আগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সমন্বয়কদের উপর হামলার বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সমন্বয়কেরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতিকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, তাদের বিবেককে যেভাবে জাগ্রত করছেন। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা আলোচিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটার বিষয়ে সরকারের সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।’

সারাদেশের আদালতের নিরাপত্তার বিষয়টিও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচিত হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘সকলকে সংযত থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। হয়তো আপনার দাবি যুক্তিযুক্ত, কিন্তু আপনার দাবি আদায়ের পদ্ধতি যদি বেআইনি, ধ্বংসাত্মক হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনার ন্যায দাবিও পূর্ণ করতে পারবেন না।’

আদালতের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ প্রকাশের কথা তুলে ধরে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সকলকে বলব, এই জাতীয় ধ্বংসাত্মক ও অবমাননামূলক কাজ থেকে বিরত থাকুন। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দায়ের করার প্লাটফর্ম আছে, অভিযোগ দায়ের করা হবে, সংবাদ সম্মেলন করা হবে। কিন্তু ধংসাত্মক প্রক্রিয়া বেছে নিলে কারও কোনো লাভ হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে সরকার। তবে সেটি সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।

উপদেষ্টারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনা আসা ইসকন নিষিদ্ধের ব্যাপারে যে দাবি উঠেছে, সে বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতবিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে প্রস্তাব আসবে, জনগণ কথা বলবে। চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা হবে। সেই মোতাবেক যে পদক্ষেপ নেওয়ার তা নেব। আমরা বারবার বলেছি যত দ্রুত সম্ভব জরুরি সংস্কারগুলো শেষে নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দেব।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত