Homeজাতীয়১৭০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব: ফ্লোরিয়ান উইর্টজ যাচ্ছেন লিভারপুলে!

১৭০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব: ফ্লোরিয়ান উইর্টজ যাচ্ছেন লিভারপুলে!


ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল লিগ হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) আবারও জার্মান বুন্দেসলিগার সীমাবদ্ধতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুজেনের তরুণ তারকা মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজকে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ডলার) দিয়ে লিভারপুলে আনার সম্ভাবনা সেই বাস্তবতাকেই তুলে ধরেছে।

২২ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডার, যিনি গত মৌসুমে লেভারকুজেনকে তাদের প্রথম বুন্দেসলিগা শিরোপা এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, আগামী মৌসুমে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে Bild পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ার্ন এবং লিভারপুল উভয়ের সাথেই আলোচনা শেষে উইর্টজ অ্যানফিল্ডে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

লিভারপুলে গেলে উইর্টজ তার লেভারকুজেন সতীর্থ জেরেমি ফ্রিমপংয়ের সাথেও পুনর্মিলন ঘটাতে পারেন, যিনি নিজেও রেডসদের সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

বুন্দেসলিগা বরাবরই জার্মান ফুটবল প্রতিভা ধরে রাখতে চায়, কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর আর্থিক শক্তির সামনে তারা প্রায়শই ব্যর্থ হচ্ছে। বায়ার্ন মিউনিখ, যারা জার্মান ফুটবলের অন্যতম ধনী এবং শক্তিশালী ক্লাব, এমনকি তারা নিজেও ভির্টজকে ধরে রাখতে পারছে না—এটি সেই সমস্যাকেই জোরালোভাবে প্রকাশ করছে।

জার্মান ফুটবলের বিখ্যাত ৫০+১ নিয়ম অনুযায়ী, একটি ক্লাবের সদস্যদের অবশ্যই ক্লাব পরিচালনাকারী ইউনিটের ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার (৫০%+১) থাকতে হবে। এর ফলে বাইরের বিনিয়োগকারীরা ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং ভক্তরা ক্লাবের উপর প্রভাব রাখতে পারে।

এই নিয়মের কারণে জার্মানিতে টিকিটের দাম তুলনামূলকভাবে কম এবং স্টেডিয়ামগুলোর দর্শকসংখ্যাও বেশি। তবে এর একটি বড় নেতিবাচক দিক হলো—জার্মান ক্লাবগুলো অর্থ সংগ্রহের নতুন পথ খুঁজে পাচ্ছে না।

বর্তমানে জার্মান প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষ ৫০+১ নিয়মটি জার্মান এবং ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী বৈধ কি না তা খতিয়ে দেখছে। ইউরোপীয় আদালতও সাম্প্রতিক একাধিক রায়ে এই নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

আইনজীবী ড্যানিয়েল এর্ড বলেন, “লিগকে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে হলে হয় ৫০+১ নিয়ম সংস্কার করতে হবে, নয়তো ক্লাবগুলোকে বেশি অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। উভয় পথেই সংস্কার দরকার।”

ফ্র্যাঙ্কফুর্ট ও ব্রেমেনের মতো বড় ফ্যানবেসওয়ালা ক্লাবগুলো স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সাহায্যে কিছুটা সমাধান খুঁজে পেয়েছে। যেমন, হামবুর্গের সেন্ট পাউলি তাদের সমর্থকদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ইউরো তোলার মাধ্যমে মালিকানার অংশীদারিত্ব গঠন করেছে।

কিন্তু ফিস Wolfsburg ও হার্থা BSC-এর মতো ক্লাবগুলো বিনিয়োগকারীদের আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ক্লাবগুলোর আয়ের উৎস এখনও মূলত টিকিট বিক্রি, সম্প্রচার অধিকার এবং স্পনসরশিপেই সীমাবদ্ধ।

ব্লুমবার্গের এক ১০৮-পৃষ্ঠার বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বুন্দেসলিগার আয় প্রিমিয়ার লিগের তুলনায় অনেক কম। এই ব্যবধান পূরণ না করলে বুন্দেসলিগা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে, ভালো ফল করতে পারবে না।

বুন্দেসলিগার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএফএল (DFL) সম্প্রতি আবারও নতুন বিনিয়োগ নীতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। যদিও অতীতের চেষ্টাগুলো ভক্তদের তীব্র বিরোধিতার মুখে ব্যর্থ হয়েছে।

হানোভার ৯৬-এর সাবেক চেয়ারম্যান মার্টিন কিন্ড বলেন, “সমস্যার মূল হলো ৫০+১। তবে এই নিয়ম পরিবর্তনের পক্ষে জনমত পাওয়া কঠিন। তাই কেবল আইনগত চ্যালেঞ্জই হতে পারে একমাত্র উপায়।”

সূত্রঃ Bloomberg





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত