উন্নত স্যানিটেশন ও সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থার জন্য চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে ২৮ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ১২১ দশমিক ৪৩ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
রবিবার (১১ মে) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, শনিবার (১০ মে) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছে।
এতে জানানো হয়, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৬ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ১২ বছর। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের ওপর কোনও সার্ভিস চার্জ বা সুদ দিতে হবে না। তবে বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ উইন্ড থেকে ১৪ কোটি ডলারে ফ্রন্ট ইন্ড ফি বাবদ শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ দিতে হবে। এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছর।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব শাহিরয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রধান গেইল এইচ মার্টিন চুক্তিতে সই করেন।
প্রকল্পটি ৩১ ডিসেম্বর ২০৩০ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, জলবায়ু সহনশীল পানি সরবরাহ বৃদ্ধি, স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতি, চট্টগ্রাম ওয়াসার পরিচালন দক্ষতা উন্নয়ন এবং আর্থিক ক্ষমতা টেকসইকরণ করা হবে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে— যা বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা দৃঢ় করেছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে ৪৭টি চলমান প্রকল্পের জন্য ১৩ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে।