অনলাইন ভূমিসেবা নিতে বহু নাগরিক নিজে আবেদন করতে সক্ষম নন। বিষয়টি সহজ করতে তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে আবেদন করার ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে সরকার ‘ল্যান্ড সার্ভিসেস ফ্যাসিলিটেটিং সেন্টার (এলএসএফসি)’ বা ‘ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র’ স্থাপনের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে ‘ভূমিসেবা সহায়তা নির্দেশিকা, ২০২৫’ করা হয়েছে। এ নির্দেশিকার আলোকে ঢাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বাকি সাতটি বিভাগের বিভাগীয় জেলাগুলোতে সহায়তা কেন্দ্র অনুমোদন দেওয়ার কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ভূমি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানায় ভূমি মন্ত্রণালয়।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি সেবা গ্রহণে নাগরিক আবেদন প্রক্রিয়ায় ‘এজেন্সি সেবা’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেই ধারণা থেকেই ভূমিসেবা নিয়ে ভূমি অফিসের বাইরে নাগরিকদের সহায়তা দিতে এ সহায়তা কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনে অনুমতি দেবে জেলা প্রশাসক। এসব কেন্দ্র থেকে নাগরিকরা সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে ভূমিসেবার আবেদন করতে পারবেন। এতে ভূমিসেবা নেওয়া আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। আবেদন হবে আরও নির্ভুল। একই সঙ্গে ভূমিসেবা গ্রহণে সহায়তা প্রদান ও তথ্য সুরক্ষায় বিধিগত কাঠামো তৈরি হবে বলে মনে করছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এখন ভূমিসেবা নিতে অনলাইনে আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা রয়েছে। কম্পিউটারের দোকানগুলো ইচ্ছেমতো ফি নিচ্ছে। তারা আবেদনের ক্ষেত্রে ভুল করলেও কোনো জবাবদিহি নেই। সার্বিক বিচেনায় উন্নত সেবা দিতে এবং নাগরিকদের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র করা হচ্ছে।-অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী
ভূমিসেবা সহায়তা নির্দেশিকা অনুযায়ী, সহায়তা কেন্দ্র থেকে ভূমি উন্নয়ন কর, নাম জারি ও জমা খারিজ, খতিয়ান বা পর্চার সার্টিফায়েড কপি ও মৌজা ম্যাপ বা নকশা প্রাপ্তির আবেদন, অনলাইনে জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ডিজিটাইলাজেশন, নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও পারফরম্যান্স-ডিকেএমপি অনুবিভাগ) মো. এমদাদুল হক চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট একটি সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে ভূমিসেবার আবেদন অনলাইনে দাখিল করার বিষয়ে কোনো আইনি কাঠামো না থাকায় নাগরিকরা ভূমিসেবা গ্রহণে অনেক ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনলাইনে ভূমিসেবা গ্রহণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকদের নিজে আবেদন করার সক্ষমতা না থাকায় তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে আবেদন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।’
তিনি বলেন, ‘এখন ভূমিসেবা নিতে অনলাইনে আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা রয়েছে। কম্পিউটারের দোকানগুলো ইচ্ছেমতো ফি নিচ্ছে। তারা আবেদনের ক্ষেত্রে ভুল করলেও কোনো জবাবদিহি নেই। সার্বিক বিচেনায় উন্নত সেবা দিতে এবং নাগরিকদের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র করা হচ্ছে।’
এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় পাঁচটি কেন্দ্র করা হয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এখন দেশের পাঁচ বিভাগের পাঁচটি বিভাগীয় জেলায় সহায়তা কেন্দ্র করার প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি এ মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। জেলা প্রশাসকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব কেন্দ্র হচ্ছে।’
পরবর্তীসময়ে সারাদেশে ভূমি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনে অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।
যে প্রক্রিয়ায় স্থাপন হবে ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র
নির্দেশিকায় সহায়তাকারী নিয়োগ প্রাপ্তির যোগ্যতা, কেন্দ্র কাঠামোসহ বিভিন্ন শর্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনে আবেনকারীর যোগ্যতার বিষয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ন্যূনতম কম্পিউটার বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডেটা নিরাপত্তা বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে, কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা বা স্নাতক ডিগ্রিধারীদের বা সরকারি অন্য দপ্তরের এমন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে।
>>জেলার মোট সহায়তাকারীদের ন্যূনতম এক তৃতীয়াংশ নারী হতে হবে। তবে ওপরের যোগ্যতাসম্পন্ন নারী উদ্যোক্তা পাওয়া না গেলে এ শর্ত শিথিলযোগ্য হবে। এ নির্দেশিকার অধীনে নিজ ব্যয়ে সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার আর্থিক এবং জনবলগত সক্ষমতা থাকতে হবে। নিজস্ব ভূমি বা ভাড়া চুক্তিতে কমপক্ষে দুই বছর মেয়াদে এলএসএফসি (ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র) স্থাপনের জন্য কমপক্ষে ৮০ বর্গফুট মেঝের স্থাপনা প্রয়োজন হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
>>কম্পিউটার বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন প্রয়োজনীয় সংখ্যক কম্পিউটার কর্মী নিয়োজিত করতে হবে এবং এক্ষেত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন নারী কম্পিউটার কর্মী নিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সহায়তাকারী ও তার নিয়োজিত কম্পিউটার কর্মীরা কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধে চার্জশিটভুক্ত বা দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হবেন না।
>>এছাড়া সহায়তাকারীকে সব ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের হিসাবভুক্ত হতে হবে। হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। সরকারের প্রযোজ্য কোনো আইন বা আদেশে টিআইএন বা ভ্যাট নিবন্ধন প্রয়োজন হলে তা থাকতে হবে।
>>কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ ও কমপক্ষে ১০ এমবিপিএস গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এবং বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে। কেন্দ্র খোলা রাখতে হবে সপ্তাহের শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার। তবে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে এ সময় পুনর্নির্ধারণ করে দিতে পারবেন।
>>সরকার অনুমোদিত ডিজিটাল তথ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানের অধীন নাগরিকের উপাত্ত সুরক্ষা বিষয়ে নিজস্ব নীতি ও সক্ষমতা থাকতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
>>উপজেলা ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন ভূমি অফিস চত্বরে সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না জানিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো সহযোগী/সহায়তাকারী বা তার নিয়োজিত কম্পিউটার কর্মী সরকারি কর্মচারী হিসেবে গণ্য হবেন না বা এমন দাবি উত্থাপন করা যাবে না বা করলেও তা আইন বা আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।
>>এলএসএফসির সহায়তাকারী হিসেবে নিয়োজিত ব্যক্তি বা কর্মীরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং উপজেলা ভূমি অফিসে গমনাগমন করতে পারবেন না।
>>জেলা প্রশাসকরা কেন্দ্র স্থাপনে অনুমতিপত্র দেবেন জানিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক এলএসএফসি স্থাপনে অনুমতিপত্র দিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন এবং এ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। সরকারের নির্দিষ্ট করা ওয়েব পেজে অনলাইনে আবেদন করা যাবে এবং হার্ডকপিতে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
>>জেলা প্রশাসক কাজের ব্যাপ্তি ও এলাকা বিবেচনা করে সরকারের অনুমোদন নেওয়া সাপেক্ষে ইউনিয়ন, উপজেলা বা পৌর সদর বা সিটি করপোরেশন এলাকায় এলএসএফসির সংখ্যা নির্ধারণ করবেন। সরকার অনুমোদিত সংখ্যক এলএসএফসি স্থাপনের জন্য প্রাপ্ত আবেদন থেকে যে আবেদনকারীরা কেন্দ্র কাঠামো, লোকবল, ডিজিটাল সক্ষমতা ও যন্ত্রাদি, সেবার কৌশল, কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ এবং ডেটা নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় যোগ্য বিবেচিত হবেন তাদের এলএসএফসি স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসক অনুমতিপত্র দেবেন। একটি অনুমতিপত্র দিয়ে একটির বেশি এলএফএসসি পরিচালনা করা যাবে না।
>>অনুমতিপত্র পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে নির্বাচিত সহায়তাকারী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে নির্ধারিত ফরমে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করবেন। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে নির্বাচিত সহায়তাকারী ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরের জন্য ৫০ হাজার টাকা, সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌরসভা এলাকা ছাড়া সব পৌর এলাকার জন্য এক লাখ এবং সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌর এলাকার জন্য এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরতযোগ্য জামানত দিতে হবে। এ নির্দেশিকা পরিপন্থি কোনো কাজ করার কারণে অনুমতিপত্র বাতিল হলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র পরিচালনা করার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি ও প্রচলিত আইনে কোনো অপরাধ করা হলে সংশ্লিষ্ট আইন অনুসারে ওই কেন্দ্র বা কেন্দ্র সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
অনুমতিপত্র দুই বছর মেয়াদি হবে। তবে, জেলা প্রশাসক মেয়াদপূর্তির আগে কারণ উল্লেখ করে অনুমতিপত্র বাতিল করতে পারবেন।
>>সহায়তাকারী নিজে অনুমতিপত্র বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে পারবেন। তবে সহায়তাকারী নির্দেশিকা বা অনুমতিপত্রের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে, সতর্ক করার পরে ফের শর্ত ভঙ্গ করলে; নাগরিকের কোনো ব্যক্তিগত তথ্য বা তার মালিকানাধীন ভূমির কোনো তথ্য তার অনুমতি ছাড়া তৃতীয় কোনো পক্ষকে দেওয়া হলে এবং এর কোনো উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে জেলা প্রশাসক অনুমতিপত্র বাতিল করতে পারবেন বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিটি এলএসএফসি জন্য অনুমতিপত্র বাবদ ফি দিতে হবে। এক্ষেত্রে ফি ইউনিয়ন পর্যায়ে (উপজেলা সদর ছাড়া) তিন হাজার টাকা, উপজেলা সদর পৌর এলাকায় পাঁচ হাজার টাকা ও সিটি করপোরেশনের এলাকায় আট হাজার টাকা।
ভূমিসেবা সহায়তায় নির্ধারিত ফি
কেন্দ্র থেকে ভূমি সহায়তা নিতে ফি দিতে হবে। এক্ষেত্রে নির্দেশিকায় ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
ভূমি উন্নয়ন কর/ভূমির সেবা প্রদানের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ ফি ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরে ৫০ টাকা, সব সিটি করপোরেশন, সাভার পৌরসভা এলাকা ছাড়া সব পৌর এলাকায় ৫০ টাকা।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অনুমোদনের পরে ভূমি উন্নয়ন কর জমা বা আপত্তি থাকলে আপত্তি দায়েরের ফি সব ক্ষেত্রেই ২০ টাকা। একইভাবে করদাতাকে দাখিলার প্রিন্ট কপি সরবরাহের ফি-ও সব এলাকায় ২০ টাকা।
নামজারি মামলার অনলাইন আবেদন পূরণ ও কাগজাদি আপলোড এবং দাখিলের ফি ইউনিয়ন-উপজেলা সদরে ২০০ টাকা, সব সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌরসভা এলাকা ছাড়া সব পৌর এলাকায় ২৫০ এবং সব সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌর এলাকায় ৩০০ টাকা। তবে আপলোডের জন্য স্ক্যান করা পৃষ্ঠা সংখ্যা বিশের বেশি হলে অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্ঠার জন্য তিন টাকা দিতে হবে।
অনুমোদন সাপেক্ষে শর্টকাট নির্ধারিত নামজারি ফি জমাকরণ ও অনলাইন নামজারি খতিয়ানের প্রিন্ট কপি সরবরাহের ফি সব এলাকায় ১০০ টাকা।
নামজারি খতিয়ান বা রেকর্ডীয় খতিয়ান বা পর্চা প্রাপ্তির অনলাইন আবেদন পূরণ ও দাখিলের ফি ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরে ১০০ টাকা, সব সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌরসভা এলাকা ছাড়া সব পৌর এলাকায় ১২০ এবং সব সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌর এলাকায় ১৫০ টাকা।
নকশার মাধ্যমে খাস কৃষিজমির অবস্থা ও অবস্থান প্রদর্শন, বন্দোবস্তের আবেদন দাখিলের ফি ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরে ১০০ টাকা, সব সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌরসভা এলাকা ছাড়া সব পৌর এলাকায় ১২০ এবং সব সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌর এলাকায় ১২০ টাকা।
কবুলিয়ত ফরম পূরণ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর দাখিলের ফি সব এলাকায় ৮০ টাকা।
অর্পিত সম্পত্তি লিজ/নবায়ন আবেদন পূরণ ও দাখিল, পরিত্যক্ত সম্পত্তি লিজ/ভাড়ার আবেদন পূরণ ও দাখিল, সায়রাত মহল লিজ সংক্রান্ত আবেদন পূরণ ও দাখিল, লিজ মানি বাবদ অর্থ জমা, মৌজা ম্যাপ বা নকশার আবেদন প্রস্তুত দাখিল ও ফি জমা এবং নকশা বা ম্যাপ গ্রহণ ও বিতরণ, বিভিন্ন প্রকারের মিস কেস আবেদন প্রস্তুত কাগজাদি আপলোড ও দাখিল করা যাবে ভূমি সহায়তা কেন্দ্র থেকে। এসব ক্ষেত্রে ফি হবে ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরে ১০০ টাকা, সব সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌরসভা এলাকা ছাড়া সব পৌর এলাকায় ১২০ এবং সব সিটি করপোরেশন ও সাভার পৌর এলাকায় ১৫০ টাকা।
আরএমএম/এএসএ/এমএফএ/জিকেএস