[ad_1]
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ডিএমপির তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে, সংখ্যাটি ১৭৪। এরপরই রয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, মামলার সংখ্যা ১৫৯। এ ছাড়া সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের বিরুদ্ধে ২৩, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ১১, হাসান মাহমুদ খন্দকারের বিরুদ্ধে ৭ ও জাবেদ পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়েছে।
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৬, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৮, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৬, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ১২৮ ও অতিরিক্ত ডিআইজি এস এম মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়েছে।
ডিএমপির উপকমিশনারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ওয়ারী বিভাগের তৎকালীন উপকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের বিরুদ্ধে, মামলা ২৭টি। সরকার পতনের পর ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করা নিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে কথা বলছেন ইকবাল। মুঠোফোনে একটি ভিডিও দেখিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘গুলি করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়…।’ এ সময় সেখানে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, ইকবাল বাহার, মাহবুবুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, বনজ কুমার মজুমদার, দিদার আহমেদ, মোহাম্মদ আলী মিয়া, এম খুরশিদ হোসেন, সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, খন্দকার লুৎফুল কবীর, কৃষ্ণপদ রায়, এ কে এম হাফিজ আক্তার, সাবেক ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান প্রমুখ।
পুলিশের সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক মামলার তদন্ত দ্রুত করতে হবে। যাঁরা নির্দোষ, তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং অপরাধে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিতে হবে।
[ad_2]
Source link