[ad_1]
চিকিৎসা
এ রোগ শনাক্তকরণ ও দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করা ও শারীরিক লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা। চিকিৎসা হিসেবে সাধারণত হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ ও শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ, রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট, শরীরে অতিরিক্ত পানি জমা কমাতে ডাইইউরেটিকস–জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বা অন্য যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হতে পারে।
পরামর্শ
নারীদের গর্ভাবস্থার এ জটিল সমস্যা প্রতিরোধের কোনো নিশ্চিত উপায় নেই। তবে কিছু পদক্ষেপ ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে, যেমন গর্ভাবস্থার শেষ মাসে ও প্রয়োজনে প্রসবের পর ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষা করা, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা, প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা গর্ভাবস্থার সময় যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ সম্পর্কে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ।
পেরিপার্টাম কার্ডিওমায়োপ্যাথি গুরুতর ও প্রাণঘাতী সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। তবে সময়মতো চিকিৎসা নিলে বেশির ভাগ রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই গর্ভাবস্থার সময় যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
-
ডা. মো. মোশফেকুর রহমান খান: সাবেক সহযোগী অধ্যাপক, কার্ডিওলজি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
[ad_2]
Source link