[ad_1]
সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৮.৩ ওভারে ৫২/২ (দিপু ৮*, সাদমান ৩৭*, জয় ৩, মুমিনুল ০)
দশম ওভারে আলিক আথানেজের হাত ফসকে প্রথমবার জীবন পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। তখন তার রান ছিল ১৫। জাকির হাসানের বদলি হয়ে একাদশে নামা এই ওপেনার দ্বিতীয়বার জীবন পেলেন। জাস্টিন গ্রিভসের বলে তার ড্রাইভ ডানদিকে ডাইভ দিয়ে হাতে রাখতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। তখন বাংলাদেশের ওপেনারের নামের পাশে ছিল ৩৫ রান।
২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চাশ
কেমার রোচের তোপে পড়ে শুরুতেই বাংলাদেশ হারায় ২ উইকেট। ১০ রানের মধ্যে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক মাঠ ছাড়েন। ১৫ রানে জীবন পাওয়া সাদমান ইসলাম হাল ধরেছেন। ১৭তম ওভারের শেষ বলে ডাবলস নিয়ে বাংলাদেশকে পঞ্চাশের ঘরে নেন তিনি। সঙ্গে আছেন শাহাদাত হোসেন দিপু।
জয়ের পর রোচের শিকার মুমিনুল, রেকর্ড ১৭তম ডাক
টানা দুই ওভারে কেমার রোচ বাংলাদেশের দুই উইকেট তুলে নিলেন। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মাহমুদুল হাসান জয়কে মাত্র ৩ রানে জশুয়া ডা সিলভার ক্যাচ বানান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার তার পরের ওভারে মুমিনুল হককেও একইভাবে আউট করেন। তার ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে নেন ডা সিলভা। ৬ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি মুমিনুল। তাতে করে লজ্জার রেকর্ড গড়লেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ডাক মারলেন তিনি। ১৭তম বারের মতো রানের খাতা না খুলতে পেরে পেছনে ফেললেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে।
দশম ওভারে জীবন পান সাদমান। ব্যক্তিগত ১৫ রানে আলিক আথানেজের হাত ফসকালে বেঁচে যান বাংলাদেশি ব্যাটার, বোলিংয়ে ছিলেন আলজারি জোসেফ।
রোচ-সিলসকে সামলাচ্ছেন সাদমান-জয়
দ্বিতীয় টেস্টে দুই প্রান্ত থেকে কেমার রোচ ও জেইডেন সিলসের আগুন বোলিং সামাল দিচ্ছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে জয় সিঙ্গেল নিয়ে রানের খাতা খোলেন।
দুই পরিবর্তন নিয়ে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মাঠকর্মীদের পাঁচ ঘণ্টার অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মাঠ খেলার উপযোগী করা গেছে। বাংলাদেশ সময় দেড়টায় হলো টস, মেহেদী হাসান মিরাজ জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ব্যাটিং করছি। উইকেট দেখতে ভালো লাগছে। দুটি পরিবর্তন- সাদমান খেলছে এবং নাহিদ রানা শরিফুলের জায়গায় এসেছে। শেষ ম্যাচ ছিল কঠিন। টপ অর্ডারকে ভালো খেলতে হবে। এই ধরনের কন্ডিশনে দ্রুত শিখতে হবে। ছেলেরা রোমাঞ্চিত, গত তিন চার দিন ধরে তারা অনুশীলন করছে।’
অ্যান্টিগা টেস্টে খেলা শরিফুল ছাড়াও বাদ পড়েছেন জাকির হাসান।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টানা টেস্ট খেলার রেকর্ড গড়লেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। টানা ৮৬তম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।স্যার গারফিল্ড সোবার্সকে (৮৫) পেছনে ফেললেন তিনি।
২০২১ সালে শেষবার জ্যামাইকায় যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিল, সেবার তাদের কোচ ছিলেন ফিল সিমন্স। এবার তিনি বাংলাদেশের ডাগআউটে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), মিকাইল লুইস, কিসি কার্টি, কাভেম হজ, আলিক আথানেজ, জাস্টিন গ্রিভস (উইকেটকিপার), জশুয়া ডা সিলভা, আলজারি জোসেফ, কেমার রোচ, জেইডেন সিলস, শামার জোসেফ।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, শাহাদাত হোসেন দিপু, মুমিনুল হক, লিটন দাস (উইকেটকিপার), জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা।
ভেজা আউটফিল্ডে টস ছাড়াই শেষ প্রথম সেশন
সাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের টস হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৮টায়। কিন্তু ভেজা আউটফিল্ডের কারণে তা দেরিতে হচ্ছে।
পিচ ও কন্ডিশন রিপোর্টে স্যামুয়েল বদ্রি জানালেন, পিচের অবস্থা ভালো। ঘাস আছে। কিন্তু স্কয়ারে পানি আছে, পা দিলেই পানি উপরে উঠছে। আম্পায়াররা তাই ওই জায়গাকে খেলার অনুপযুক্ত বলছেন। মাঠকর্মীরা মাঠ শুকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। আম্পায়াররা সবশেষ বাংলাদেশ সময় ১০টা ও ১২টায় মাঠ পরিদর্শন করেন। অবস্থার তেমন একটা উন্নতি লক্ষ করা যায়নি। এরই মধ্যে প্রথম সেশন শেষ হয়ে গেছে, চলছে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। পরবর্তী পরিদর্শন বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ?
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের ভেন্যু অ্যান্টিগার উইকেট খুব বেশি কঠিন না হলেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। দুই ইনিংসেই ব্যাটাররা রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যার ফলে বড় ব্যবধানে হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। আজ শনিবার রাতে জ্যামাইকাতে অ্যান্টিগার চেয়েও বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। উইকেটে স্বাভাবিক ভাবেই থাকবে পেসারদের রাজত্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইতোমধ্যে অপরিবর্তিত একাদশ ঘোষণা করেছে। এদিকে, বাংলাদেশের একাদশে একটি পরিবর্তন আসতে পারে। পেসার শরিফুল ইসলামের বদলে দেখা যেতে পারে নাহিদ রানাকে। জ্যামাইকার গতিময় ও বাউন্সি উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতেই নাহিদ রানার আগমন।
তবে বোলিং বিভাগ যেমনই হোক না কেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা নেই। আগের টেস্টেও বোলাররা সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। তারাই দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন। কিন্তু ব্যাটাররার সুযোগটা নিতে পারেননি বলেই বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে। তবে জ্যামাইকাতেও একই বিষয় চোখ রাঙাচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে টানা তিন টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে।
[ad_2]
Source link