আইন অনুযায়ী বাসসের পরিচালনা বোর্ড হয় চেয়ারম্যানসহ ১৩ সদস্যের। এর মধ্যে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জন পরিচালক থাকেন পদাধিকারবলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি। ছয়জন পরিচালক সরকার মনোনীত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই বোর্ডও গঠন করা হয় দলীয় বিবেচনায়। গত ১৫ বছরে দেখা গেছে সংস্থাটিতে যাঁরা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দলটির নেতা ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত নন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম রহমান, সাংবাদিক রাহাত খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সর্বশেষ ২০২৩ সালে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়।
২০২৩ সালে গঠন করা বাসসের পরিচালনা বোর্ডে সরকার মনোনীত গণমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দ্য পিপলস লাইফ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক এবং একাত্তর টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক (বাবু)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, সংবাদ প্রতিবেদনের মূল তিনটি দিক হলো অ্যাকুরেসি (সঠিকতা), অবজেকটিভিটি (বস্তুনিষ্ঠতা) ও ফেয়ারনেস (পক্ষপাতহীনতা)। এগুলো বাসস, বিটিভি, বেতারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনুসরণ করে না। মানুষ তাদের খবর বিশ্বাস করে না। বাসস মূলত দলীয় প্রচারের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, অসত্য প্রচারের জন্য কেন জনগণের টাকা ব্যয় করা হবে?