Homeদেশের গণমাধ্যমেআলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১০ জেলায় সিসিএসের মানববন্ধন

আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ১০ জেলায় সিসিএসের মানববন্ধন

[ad_1]

কোল্ড স্টোরেজে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও সিন্ডিকেট করে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে আলু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ১০ জেলায় মানববন্ধন হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) ও এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি) এ মানবন্ধন করে। একই দাবিতে এসব জেলায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।

জেলাগুলো হলো- মুন্সিগঞ্জ, লক্ষীপুর, নারায়নগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, রংপুর, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জ। এসব জেলায় কর্মসূচি করেন সিসিএস ও সিওয়াইবির স্বেচ্ছাসেবীরা।

সিসিএস-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ১ মাস ধরে দেখা যাচ্ছে যে, অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজ কেন্দ্রীক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুদদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয় মূল্য কেজি প্রতি ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চলভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা।

কিন্তু কতিপয় মজুদদার, বেপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন) এবং সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার বা মালিক যোগসাজসে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।

সিসিএসের পক্ষ থেকে নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতীয়মান হয়েছে যে, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন। এবার আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি টনের বেশি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোল্ড স্টোরেজে ৪০ লাখ টনের বেশি আলু মজুদ রয়েছে। যা বছরের বাকি সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত। কিন্তু মজুদদারেরা সরবরাহ হ্রাস করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হিমাগার থেকে বেশি মূল্যে আলু বিক্রয় করছে এবং ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত পাকা রশিদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছে না।

এ অবস্থায় কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে অবৈধ বিপণন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিমাগার ম্যানেজার, দলিল ক্রেতা- বিক্রেতা, ফড়িয়া বা মধ্যস্বত্তভোগী বেপারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট বা অভিযান জোরদার করে আলুর মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনার অনুরোধ করেছে সিসিএস।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত