[ad_1]
প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
আপডেট: ২৩:০২, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

ফরচুন বরিশালের ছুড়ে দেওয়া টার্গেটটা অবশ্য খুব একটা বড় ছিল না। ১৬৮। আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে সেটা প্রায় ছুঁলে ফেলেছিল খুলনা টাইগার্স।
বিশেষ করে নাঈমের ব্যাটে। তিনি ৫৮ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে প্রায় জিতিয়ে ফেলেছিলেন। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে তিনি আউট না হলে ম্যাচের ফল ঘুরে গেলেও যেতে পারতো। কিন্তু তার বিদায়ে সেটা আর সম্ভব হয়নি। ৬ উইকেট হারিয়ে খুলনা শেষ পর্যন্ত থামে ১৬০ রানে। আর বরিশাল ৭ রানের দুর্দান্ত এক জয়ে প্লে’অফে এক পা দিয়ে রাখল। খুলনা আরেকটু পিছিয়ে পড়লো। ৮ ম্যাচ থেকে বরিশালের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। তারা আছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা আছে পঞ্চম স্থানে।
নাঈম ৫৯ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। মিরাজ ২৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস। আর আফিফ ১৭ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে করেন ২৭ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। তাতে জয়ও ছোঁয়া হয়নি খুলনার।
বল হাতে বরিশালের জাহানদাদ খান ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী, রিপন মন্ডল ও রিশাদ হোসেন।
তার আগে খুলনা টাইগার্সের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল স্কোরবোর্ডে ১৬ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। তার মধ্যে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালান। মুশফিকুর রহিম একটু পরই হন রান আউট। সেই ধাক্কা সামলে বরিশাল ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৬৭ রান করে। সেটা সম্ভব হয় মিডল ও লেট অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে ভর করে।
ওপেনিংয়ে তাওহীদ হৃদয় ৩০ বলে ৩৬ রানে ফেরার পর মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিপর্যয়ে প্রতি আক্রমণে গিয়ে তার সহজাত ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যায় বরিশালের রানের চাকা। জিয়াউর রহমানের বলে আমের জামালের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৫ বলে ৫০ করেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়।
অষ্টম উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন রিশাদ হোসেন। ২৮ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন দুজন। তাতে বরিশালের স্কোরবোর্ডের চিত্র পাল্টে যায়। শেষ ৪ ওভারে ৬১ রান পায় বরিশাল। যার পুরোটাই কৃতিত্ব রিশাদ হোসেনের। এসেই জিয়াউর রহমানকে তিন চার হাঁকান রিশাদ। ইনিংসের শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ৩৯ রান করেন রিশাদ। ৫ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ২০৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি। শেষ ওভারে তানভীর ১টি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান বরিশালের পুঁজিতে রাখে বিরাট অবদান।
৩ উইকেট নিয়ে খুলনার সেরা ছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। ২ উইকেট নেন সালমান এরশাদ। ব্যাট হাতে ৩৯ রান ও বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বরিশালের রিশাদ।
ঢাকা/আমিনুল
[ad_2]
Source link