[ad_1]
ইউসুফ (আ.)-এর ওপর অপবাদ দিয়েছিলেন জুলেখা। একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু ইউসুফ (আ.)-এর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিল। সত্য বুঝতে পারার পরও জুলেখার সম্মান বাঁচাতে তাঁর স্বামী কিতফির ইউসুফ (আ.)-কে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। (কাসাসুল কোরআন, হিফজুর রহমান, অনুবাদ : মাওলানা আবদুস সাত্তার আইনী, খণ্ড ৩, পৃ ৩০)
জেলখানায় বন্দীরা ইউসুফ (আ.)-কে বেশ সমীহ করতেন। তিনি তাঁদের আল্লাহর পথে দাওয়াত দেন। কেউ কেউ তাঁর কথা মেনে নিয়েছিলেন। সে সময় মিসরের বাদশাহ এক স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নের অর্থপূর্ণ ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারছিলেন না। জেলবন্দি ইউসুফ (আ.) সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বাদশাহ বেজায় খুশি হন। তাঁকে মুক্তি দেন। পরে তিনি মিসরের খাদ্যভান্ডার ও ব্যবসা-বাণিজ্য পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘রাজা বলল, তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো, আমি তাকে আমার জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করে নেব। অতঃপর সে (ইউসুফ) যখন তার সঙ্গে কথা বলল, তখন রাজা বলল, আজ তুমি আমাদের কাছে খুবই মর্যাদাশীল ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিগণিত। সে (ইউসুফ) বলল, ‘আমাকে দেশের ধনভান্ডারের দায়িত্ব দেন, আমি উত্তম রক্ষক ও যথেষ্ট জ্ঞানের অধিকারী।’ এভাবে আমি ইউসুফকে সে দেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম। দেশের যেখানে ইচ্ছা সে নিজের স্থান করে নিতে পারত। আমি যাকে চাই আমার রহমত দিয়ে ধন্য করি, আমি সৎকর্মশীলদের কর্মফল কক্ষনো বিনষ্ট করি না।’ (সুরা–ইউসুফ, আয়াত: ৫৪-৫৬)
অনেকের ধারণা, ইউসুফ (আ.) জুলেখার সঙ্গে প্রেম করেছেন—এটি সত্য নয়। এটি একটি প্রচলিত ভুল। জুলেখার একপক্ষীয় প্রেম ছিল। জুলেখার সঙ্গে ইউসুফ (আ.)-এর বিয়ে হয়েছিল কিনা—এ বিষয়ে কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি। তবে কোনো কোনো মুফাসসির উল্লেখ করেছেন, স্বামী কিতফিরের মৃত্যুর পর এবং তওবা করার পর ইউসুফ (আ.)-এর সঙ্গে জুলেখার বিয়ে হয়েছিল। (তাফসিরে ইবনে আবি হাতিম, খণ্ড ৮, পৃ ৩৯০; তাফসিরে তবারি, খণ্ড ১৬, পৃ ১৫১)
আবু আশফাক মুহাম্মাদ: লেখক ও আলেম
[ad_2]
Source link