Homeদেশের গণমাধ্যমেইফতারের জন্য তোলা টাকায় সবাইকে পাঞ্জাবি দেওয়া সম্ভব হয়নি: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

ইফতারের জন্য তোলা টাকায় সবাইকে পাঞ্জাবি দেওয়া সম্ভব হয়নি: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

[ad_1]

রংপুর জেলা ও মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ১৬ নেতাকর্মী পদত্যাগ করার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে প্ল্যাটফর্মটির রংপুর জেলা শাখা। সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ায় নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে সব অভিযোগকে মিথ্যা বানোয়াট, অসত্য ও তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য করা হয়েছে দাবি করে পাল্টা অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহামেদ, সদস্য সচিব ডা. জামিল, মুখ্য সংগঠক ইয়াসির আরাফাত।

আহ্বায়ক ইমরান আহামেদ বলেন, ‘আমরা রমজান মাসে ইফতার মাহফিল করার জন্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করি। এ ছাড়াও ডেকোরেটরসহ অন্যান্য খরচের জন্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাদের সহায়তা করেছেন। আমরা বলেছিলাম, টাকা সাশ্রয় হলে পাঞ্জাবি কিনে দেওয়া হবে। সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। বন্যায় সময় ত্রাণ তহবিলে ৮৭ হাজার টাকা ছিল, সেই টাকা জেলা ও মহানগরের তহবিলে রেখেছি। প্রয়োজনে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎপ্লান্ট থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘গত ১৫ মে একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে মেসেঞ্জার গ্রুপ আছে, সেখানে থাকা আমাদের কর্মপরিকল্পনা কার্যক্রম বাইরে প্রকাশ হচ্ছিল- আমাদের মধ্যে কোনও একজন গুপ্তচরবৃত্তি করে এসব প্রকাশ করছিল। বিশেষত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কীভাবে প্রতিহত করা যায়, জুলাই আন্দোলনকে কীভাবে ধরে রাখা যায় এসব বিষয়ে যে আলোচনা হতো, আমাদের মধ্য থেকে কেউ স্ক্রিনশট দিয়ে ভুল বার্তায় বিভিন্ন সংগঠনের কাছে তা প্রদান করা হতো। এর মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছিল। সেই গুপ্তরচরকে ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করি। এ ঘটনায় আমাদের সংগঠনের মাহমুদুর রহমান লিয়নকে ধরে ফেলি। সে স্ক্রিনশট নিয়েছে- এটা প্রমাণিত হওয়ার পর আমরা তাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম- এটা বুঝতে পেরে আমাদের বহিষ্কৃত ও সাবেক সদস্য সীমান্ত হোসেন ও তানজিম আলমকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে।’ 

তিনি বলেন, ‘নগরীর ঘাঘট এলাকায় জুয়া হাউজিসহ মেলায় আমরা নাকি অনেক টাকা চাঁদা নিয়েছি।’ এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। বরং হাউজি ও জুয়া বন্ধ করার চেষ্টা করেও পারিনি। সেই সঙ্গে সিটি করপোরেশনে ৩১ জনকে নিয়োগ দেওয়া নয়, পুনর্বহালের তদবির করেছি, তবে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি।’ সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করা হয়।

এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ রংপুরে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি ও তদবির বাণিজ্য সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর অনেকটা এড়িয়ে গিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

তারা দাবি করেন, যে ১৬ নেতা পদত্যাগ করেছেন, তারা সবাই ভালো এবং মেধাবী। তারা প্রকৃত সত্য সম্পর্কে না জেনে ভুল তথ্য নিয়ে অভিযোগ করেছে।

একপর্যায়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন তারা।

এদিকে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহামেদ ইমতিসহ মহানগর নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে কোনও বক্তব্য না দিয়ে সব মিথ্যা বললেও প্রেস ব্রিফিং করার কথা বলেও করেননি। বরং বলেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরে জানাবেন।

প্রসঙ্গত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির শীর্ষ চার নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে রবিবার (১৯ মে) রাতে ১৬ নেতা রংপুর টাউন হল চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করেছেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত