Homeদেশের গণমাধ্যমেইরানের দূত ও ইলন মাস্কের মধ্যে বৈঠকের খবর নাকচ

ইরানের দূত ও ইলন মাস্কের মধ্যে বৈঠকের খবর নাকচ

[ad_1]

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মধ্যে বৈঠকের খবরকে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি স্পষ্ট করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

‘বৈঠকের খবরকে আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের মনগড়া গল্প’ বলে উল্লেখ করেছেন আরাকচি। এর পেছনের উদ্দেশ্য নিয়েও অনুমান করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই খবর অস্বীকার করেছিল।

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক সোমবার জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

আরাকচি বলেন,‘আমার মতে ইরানের প্রতিনিধির সঙ্গে ইলন মাস্কের বৈঠক সম্পর্কে আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের এই মনগড়া তথ্য একটি ‘পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা’-এটা দেখার জন্য যে এমন কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্র রয়েছে কিনা?’

আরাকচি আরও বলেন, ‘আমরা এখনও নতুন মার্কিন প্রশাসনের নীতিগুলো স্পষ্ট হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। সেই অনুযায়ী আমাদের নিজস্ব নীতিগুলো সামঞ্জস্য করব। এখন এই ধরনের বৈঠকের সময় নয় এবং এ ধরনের কিছু করা মোটেও যথাযথ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৈঠকের জন্য নেতৃত্বের (আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি) অনুমতি ছিল না।’ আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের সব রাষ্ট্রীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন।

এছাড়া আরাকচি আরও সতর্ক করেছেন যে জাতিসংঘের পরমাণু তদারকি সংস্থা আইএইএ এবং সংস্থার ভেতরে থাকা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিরোধে ইরান ‘সংঘর্ষ বা সহযোগিতা উভয়ের জন্যই প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, তেহরান এবং আইএইএর মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিভিন্ন বিষয়ে তিক্ত হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে সংস্থার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বিশেষজ্ঞদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া এবং ঘোষণাবিহীন স্থানে ইউরেনিয়ামের অস্তিত্বের ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হওয়াও রয়েছে। ‘আগামী বছর আমাদের পরমাণু কার্যক্রম হবে অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং জটিল। আমরা সংঘর্ষ বা সহযোগিতা উভয়ের জন্যই প্রস্তুত।’

তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি বাদ দিয়েছিলেন। তবে ইরানের কাছে ওই চুক্তি আর কোন গুরুত্ব বহন করে না।

আরাকচি আরও বলেন, ‘যদি আলোচনা শুরু হয়, পরমাণু চুক্তি একটি রেফারেন্স হতে পারে। কিন্তু এটি আর আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের একটি বাস্তবসম্মত চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত