ইরানে ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের মূল্যায়ন করা হয়েছে নথি দুটিতে। মূল্যায়ন করেছে ‘ইউএস ন্যাশনাল জিওসপ্যাটিয়াল-ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি’ (মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের অধীন একটি সংস্থা)।
নথিতে বিশেষত দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর একটি ‘গোল্ডেন হরাইজন’ এবং অন্যটি ‘রকস’ নামে পরিচিত।
রকস হলো একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা, যা তৈরি করেছে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান রাফাল। মাটির ওপর ও নিচের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে এটি। গোল্ডেন হরাইজন বলতে বোঝানো হয়েছে ব্লু স্প্যারো ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থাকে। এটির পাল্লা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার (১ হাজার ২৪০ মাইল)।
নথিতে এ দুই ক্ষেপণাস্ত্রের কথা উল্লেখ করে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ইস্ফাহানের কাছে ইরানের রাডার স্থাপনায় গত এপ্রিল মাসে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুরূপ হামলা সে দেশে চালানোর পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। তবে এবারের হামলা হবে অনেক বেশি বিস্তৃত পরিসরের।
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো জর্ডানের মতো নির্দিষ্ট কিছু দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা এড়াতে সক্ষম হবে।
নথিতে এ–ও উল্লেখ করা হয়, ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে নিজস্ব পারমাণবিক ব্যবস্থা সক্রিয় করার কোনো প্রস্তুতি ইসরায়েল নিচ্ছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কখনোই জনসমক্ষে এটি স্বীকার করে না, তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। এ অবস্থায় নথিতে উল্লেখ করা ওই তথ্য ওয়াশিংটনের জন্য কিছু না কিছু হলেও বিব্রতকর।