Homeদেশের গণমাধ্যমেইরান সতর্ক করলেও পাত্তা দেননি বাশার আল আসাদ

ইরান সতর্ক করলেও পাত্তা দেননি বাশার আল আসাদ

[ad_1]

বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে আমেরিকা ও ইসরায়েলের পরিকল্পনায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামসের (এইচটিএস) এগিয়ে আসার খবর আগেই জানিয়েছিলেন ইরানি গোয়েন্দারা । তবে তেহরানের আগাম সেই সতর্কবার্তা কানে তোলেননি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট। এখন যার খেসারত গুনতে হচ্ছে আসাদ ও গোটা সিরিয়ান জাতিকে। এমন দাবি করেছে ইরান।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা দেশটির পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের অগ্রগতির আগে ইরানের দেওয়া সতর্কবার্তাগুলো উপেক্ষা করেছিল। যদি সেই সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো, তাহলে আজ সিরীয় জনগণ অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা, গোষ্ঠীগত বিরোধ ও জাতীয় সম্পদের ক্ষতির মুখোমুখি হতো না।

আল জাজিরা জানিয়েছে, গালিবা স্বীকার করেছেন যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন ইরান-সমর্থিত প্রতিরোধ অক্ষের অগ্রগতিতে বাধা তৈরি করেছে। তবে, দুর্বল হয়ে পড়লেও প্রতিরোধ অক্ষ আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী এবং জীবন্ত হয়ে উঠবে এবং সিরিয়া জাতীয় সম্মান পুনঃস্থাপন করবে বলে জানান ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার।

স্পিকার গালিবা বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে সিরীয় জনগণ তাদের দেশের বিপন্ন অবস্থার দিকে তাকিয়ে সচেতন হবে এবং দেশপ্রেমিক সিরীয় যুবকরা তাদের জাতীয় মর্যাদা পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে পাবে।

ইরানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ অক্ষ বলতে সেসব দেশ এবং গোষ্ঠীগুলোকে বোঝানো হয়, যারা ইরানের নেতৃত্বে পশ্চিমা শক্তি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এই অক্ষে রয়েছে কয়েকটি প্রধান দেশ ও গোষ্ঠী।

প্রতিরোধ অক্ষের গুরুত্বপূর্ণ দেশ সিরিয়া। এ ছাড়া লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংগঠন হিজবুল্লাহ, ইরাকের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও এ অক্ষে রয়েছেন। এই অক্ষের মূল উদ্দেশ্য পশ্চিমা প্রভাব, ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং তাদের দৃষ্টিতে ‘অন্যায় দখলদারিত্বের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত