Homeদেশের গণমাধ্যমেইসরায়েলি নৃশংসতা চলছেই | প্রথম আলো

ইসরায়েলি নৃশংসতা চলছেই | প্রথম আলো

[ad_1]

যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলের হামলা শুরুর দিন—মঙ্গলবারেই হামাসের সরকারপ্রধান এসাম আদালিস ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাপ্রধান আবু ওয়াতফা নিহত হন। আর যুদ্ধবিরতির আগে ১৫ মাসে প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ শীর্ষ কয়েকজন নেতাও। এ সময়ে সংগঠনটির অস্ত্রের মজুতও কমেছে।

ইসরায়েলের নৃশংসতার মধ্যে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে হামাস। সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, মৃত্যুর আগেও নিয়মিত বৈঠক করেছেন এসাম আদালিস। সরকারে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন, তাঁদের বেতন দিয়েছেন এবং ত্রাণ সরবরাহ জারি রাখার জন্য আলোচনা করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে হামাস।

অস্ত্র ও নিরাপত্তা–সংকটের মুখে যুদ্ধবিরতির আগে কিছু কৌশল হাতে নিয়েছিল হামাস। সরাসরি যুদ্ধের বদলে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর গেরিলা হামলা চালাচ্ছিল তারা। প্রযুক্তিগত নজরদারি এড়াতে বার্তা আদান–প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল মানুষ। এতে সফলতাও এসেছিল। হামাসের গেরিলা হামলায় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। হামাস–ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বলেন, ইসরায়েল যদি আবার গাজার বেশি ভেতরে সেনা পাঠানো শুরু করে, তবে তাদের সঙ্গে লড়াই অনিবার্য হবে এবং ইসরায়েলি সেনারা আবার মৃত্যুর মুখে পড়বেন। প্রসঙ্গত, গাজা অভিযানে প্রায় ৯০০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।

তেল আবিবভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মোশে ডায়ান সেন্টারের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল মিলশতেইন বলেন, গত ১৭ মাসে হামাস বড় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে গাজার সড়কগুলোর নিয়ন্ত্রণ এখনো তাদের হাতে। ইসরায়েলের হামলার কারণে উপত্যকাটিতে অনেক তরুণ বেকার হয়ে পড়েছেন। তাঁদের যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে হামাস। এ ছাড়া শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকে হারানোর পরও তারা নতুন কাউকে না কাউকে ওই পদে নিয়ে আসছে। গাজায় হামাসই প্রভাবশালী।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত