[ad_1]
প্রতিবেশী যে ধর্মের হোন না কেন, উত্তম আচরণ পাওয়া তাঁর অধিকার। বাড়িতে ভালো কোনো খাবার রান্না হলে তাতে প্রতিবেশীকে শরিক করা রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ। তিনি আবু যর (রা.)-কে বলেন, হে আবু যর! যখন কোনো তরকারি রান্না করবে, তখন তাতে একটু বেশি পানি দিয়ে ঝোল বাড়াও, আর তোমার প্রতিবেশীকে পৌঁছে দাও।
প্রতিবেশী ইন্তেকাল করলে তার জানাজায় শরিক হওয়া এবং শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা ও খাদ্য দেওয়া কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের হক পাঁচটি—সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজায় শরিক হওয়া, আহ্বানে সাড়া দেওয়া ও হাঁচির জবাব দেওয়া।
কোনো ব্যক্তি প্রতিবেশীকে কষ্ট দিলে তার প্রতিকার কৌশলে করা উচিত। হাদিসে আছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে এক ব্যক্তি রাসুলে করিম (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, আমার এক প্রতিবেশী আমাকে পীড়া দেয়। তিনি বললেন, যাও, তোমার গৃহসামগ্রী রাস্তায় বের করে রাখো। ব্যক্তিটি ঘরে গিয়ে তার গৃহসামগ্রী রাস্তায় বের করে রাখল। এতে তার পাশে লোকজন জড়ো হয়ে জিজ্ঞেস করল, তোমার কী হয়েছে? সে বলল, আমার প্রতিবেশী আমাকে পীড়া দেয়। আমি সে কথা নবী করিম (সা.)-কে বললে তিনি বললেন, ঘরে গিয়ে তোমার গৃহসামগ্রী রাস্তায় বের করে রাখো। তখন তারা সেই প্রতিবেশীকে ধিক্কার দিতে দিতে বলতে লাগল, হে আল্লাহ! ওর ওপর তোমার অভিসম্পাত হোক। হে আল্লাহ! তাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করো। এ কথা ওই প্রতিবেশীর কানে গেলে সে সেখানে উপস্থিত হয়ে বলল, তুমি তোমার ঘরে ফিরে যাও। আল্লাহর কসম! আর কখনো আমি তোমাকে পীড়া দেব না।
[ad_2]
Source link