Homeদেশের গণমাধ্যমেউত্তর প্রদেশে মুসলিম তরুণদের ওপর আবার ‘গোরক্ষক’ বাহিনীর হামলা, বেদম মারধর

উত্তর প্রদেশে মুসলিম তরুণদের ওপর আবার ‘গোরক্ষক’ বাহিনীর হামলা, বেদম মারধর

[ad_1]

গোরক্ষার নামে চাঁদাবাজি, গরু না মহিষের মাংস

আলিগড় জেলার সমাজবাদী পার্টির নেতা মনোজ যাদব দাবি করেছেন, হিন্দুদের জন্য পবিত্র গোমাতা বা গরু রক্ষার নামে এসব গুন্ডাবাহিনী যা চালাচ্ছে, সেটা চাঁদাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, ‘রেজিস্টার্ড ফ্যাক্টরি থেকে বাফেলো বা মহিষের মাংস কিনে এই গরিব ব্যাপারীরা যখন ফেরেন, তখন এই স্বঘোষিত গোরক্ষকেরা তাঁদের রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় করেন। এটার সঙ্গে ধর্ম রক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই, সবটাই ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার কৌশল!

মনোজ যাদব আরও বলেন, ১৫ দিন আগেও এই বাহিনীর লোকজন আরও কয়েকজন মুসলিম ব্যাপারীর গাড়ি আটকে টাকা দাবি করেছিলেন। পরে সেই গাড়ির মাংস পরীক্ষা করে কোনো ‘বিফ’ পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশে গরু জবাই ও মাংস বিক্রি করা বেআইনি হলেও মহিষ বা বাফেলোর মাংস বৈধভাবে কেনাবেচা করা যায়। রাজ্যজুড়ে বহু মাংস প্রক্রিয়াকরণ কারখানা মহিষের মাংস দিয়ে ব্যবসা চালায়।

ভারতের পরিচিত ফ্যাক্টচেকার বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ও অল্ট নিউজ সাইটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জুবায়েরও দাবি করেছেন, আলিগড়ের যে কারখানা থেকে মাংস কিনে ওই তরুণেরা ফিরছিল, সেটি মহিষের মাংস বিক্রি করার জন্যই সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘আল আম্মার ফ্রোজেন ফুডসে’র সনদ এবং ভারতের ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি’র দেওয়া সনদ পোস্ট করে মুহাম্মদ জুবায়ের জানিয়েছেন, এই কারখানাটির বিফ বা গরুর মাংস বিক্রি করার কোনো রেকর্ড নেই। এটি সরকারের অনুমতিতেই শুধু মহিষের মাংস বিক্রি করে থাকে।

শনিবার সকালে ওই কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় আকিলদের পিকআপ ট্রাকের ‘বাইরে বের হওয়ার অনুমতিপত্র’ পোস্ট করেছেন মুহাম্মদ জুবায়ের। সেখানে ‘বাফেলো বোন ইন মিট’ (মহিষের মাংস) লেখা আছে। তাতে গণপিটুনিতে আহত চার তরুণের অন্যতম কাদিমের সই আছে।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত