Homeদেশের গণমাধ্যমে‘এই জাতি দেশকে ভালোবাসে বলেই গণহত্যা করতে দেয়নি’

‘এই জাতি দেশকে ভালোবাসে বলেই গণহত্যা করতে দেয়নি’

[ad_1]

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ওরা বলেছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দুই দিনে প্রতিপক্ষ ৫ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটাবে। সেটা বাংলাদেশে হয়নি। ওরা কাণ্ডজ্ঞানহীন ছিল। তবে এই জাতি কাণ্ডজ্ঞানহীন নয়। ওরা দেশকে ভালোবাসে বলেই গণহত্যা করতে দেয়নি।’

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর রাজধানী নামে খ্যাত সাতক্ষীরার কর্মী সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে শহরের গণমুখী মাঠ দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শহরের প্রতিটি রাস্তায় মানুষের ভিড়ে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।

সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দেশ আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাসার প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশকে প্রাণ দিয়ে আমরা ভালোবাসতে চাই। এ জন্য আমাদের কোনো দাদা, মামা, খালু, ফুপির বাড়ি নেই। এটি আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের ঠিকানা। আমাদের ওপর জুলুম করা হয়েছে। তবু আমরা দেশ ছেড়ে কোথাও পালিয়ে যাইনি। দেশকে যারা ভালোবাসে, তারা দেশ ছেড়ে পালায় না। আল্লাহর কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি বাংলাদেশের মতো একটি সুন্দর দেশে আমাদের পাঠিয়েছেন।’

‘আগামীতে আমরা একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সেই বাংলাদেশে মানুষে মানুষে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। সমাজের প্রত্যেক মানুষের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই,’ বলেন তিনি।

বাংলাদেশের আকাশে এখন কালো শকুন ঘোরাফেরা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই শকুনের দিকে আমাদের তীর্যক দৃষ্টি রাখতে হবে। কোনো শকুনকেই কোনোভাবে মাটিতে নামতে দেওয়া যাবে না। কয়েক হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেন বাংলার মাটিতে স্বৈরাচার দাঁত বসাতে না পারে।

‘আপনারা মাঝেমধ্যে ফুসফাস টের পাচ্ছেন?’ প্রশ্ন রেখে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি, আর ওরা আমাদের ধৈর্যে সুড়সুড়ি দেয়। আমরা এমন একটি দেশ চাই, যে দেশে মা-বোনেরা নিঃসংকচে কর্মস্থলে সুরক্ষা পাবেন, রাস্তাঘাটে সুরক্ষা পাবেন, সর্বোপরি সর্বক্ষেত্রে সুরক্ষা পাবেন। আমরা যে দেশ চাই, সে দেশে মসজিদ, মন্দির কোনো কিছুই পাহারা দেওয়া লাগবে না। সব ধর্মাবলম্বী তাদের মতো করে শান্তিতে তাদের ধর্ম পালন করবে।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত