[ad_1]
তখন সুন্দরবনের মাছরাঙার ডাক থেমে গেছে। চন্দনা শালিকের ঝাঁক ডানা কাঁপিয়ে উড়ে যাচ্ছে। জাহাজের ছাদে বসে কেবল পাখিদের ওড়াউড়ি ও বনে নেমে আসা সন্ধ্যার নির্জনতা উপভোগ করছি। ঠিক এমন সময় কোথা থেকে একঝাঁক কমলাবুক হরিয়াল উড়ে এসে বসল একটি গাছে। গুনে দেখলাম সংখ্যায় তারা ১৭। একঝাঁকে এতগুলো হরিয়াল দেখা সহজ নয়। রাত কাটানোর জন্য ওরা একসঙ্গে পথ চলছে। গাছটিতে কোনো পাতা নেই, যে কারণে উদ্ভিদটি শনাক্ত করা গেল না। কিছুক্ষণ পরই হরিয়াল পাখিগুলো বনের গভীরে হারিয়ে গেল। মনে হয়েছে, কোনো পত্রপল্লবের ঘন বুননে আচ্ছাদিত কোনো বুনো বৃক্ষের শাখায় বসেছে। আমি কেবল মুগ্ধ হয়ে ওদের পালকের রং দেখলাম এবং উড়ে যাওয়ার সময় বাতাসে ডানার শব্দ শুনলাম। কবি জীবনানন্দ দাশের কয়েকটি লাইন মনে পড়ে গেল—
‘কখনো দেখিনি নিভে গেছে/ হরিয়াল প্রান্তরের পারে চলে গেছে/ ডানার ঝিলিকে তার সবচেয়ে শেষ রোদ্দুর/ জ্বালিয়ে সে সূর্যকে নিভিয়ে এবার নিভে গেল।’
কমলাবুক হরিয়াল মূলত বনের পাখি। যে কারণে বনের গভীরে থাকতেই পছন্দ করে। রাঙামাটির কাপ্তাই বনে গিয়ে কয়েকবার কমলাবুক হরিয়াল পর্যবেক্ষণ করেছি। বুনো গাছের পাকা–ফল খেয়ে তারা বেশির ভাগ সময় কাটায়। পিপাসা লাগলে বনের প্রান্তরের কোনো জলাশয়ে জল পান করতে নামে। সুন্দরবনে দেখেছি, বনের পুকুরে তারা জল পান করতে আসে।
[ad_2]
Source link