[ad_1]
পদ্মা ব্যাংক পিএলসিকে একীভূত বা একত্রীকরণ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি (এক্সিম ব্যাংক)।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
একীভূত না হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, এর আগে চলতি বছরের ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক পিএলসি-এর একীভূতকরণের কথা জানিয়েছিল ডিএসই। তবে সে সিদ্ধান্ত থেকে এখন সরে এসেছে কোম্পানিটি।
গত সোমবার অনুষ্ঠিত এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদ্মা ব্যাংককে একীভূত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ মার্চ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় এক্সিম ব্যাংক। সে আলোকে ১৮ মার্চ একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়।
সে সময় পদ্মা ব্যাংকের যে কোনো ব্যক্তিগত আমানতকারী দ্রুতই এক্সিম ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
এ ছাড়া পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা চাকরি হারাবেন না বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। তবে সেই একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে এখন সরে আসলো এক্সিম ব্যাংক।
২০১৩ সালে দ্য ফারমার্স ব্যাংক নামে পদ্মা ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০১৭ সালে ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। কিন্তু শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়ম হয়ে আসছিল ব্যাংকটিতে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়।
ব্যাংকটিকে বাঁচাতে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ব্যাংক এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশান অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ৭১৫ কোটি টাকা মূলধন জোগান দেয়।
সার্ব-অডিনেট বন্ড জারি ও স্থায়ী আমানত রাখার মতো অন্যান্য সহায়তার আকারেও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা পদ্মা ব্যাংকে বিনিয়োগ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো।
কিন্তু খেলাপি ঋণ আদায় করতে না পারায় সহায়তা দিয়েও ব্যাংকটির মূলধন ক্ষয় ঠেকানো যায়নি।
[ad_2]
Source link