[ad_1]
গতকাল বিকেলে লাক্কাতুরা চা-বাগানে গেলে চা-শ্রমিকদের মধ্যে খাবারের জন্য হাহাকার দেখা যায়। তাঁরা বলেন, একেকজন শ্রমিক দৈনিক মাত্র ১৭০ টাকা মজুরি পান। এর মধ্যে তিন মাস ধরে তাঁরা মজুরি পাচ্ছেন না। বাগান কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে সামান্য পরিমাণে আটা দিচ্ছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন দুই দফায় কিছু চাল দিয়েছে। দ্রুত এ অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন চা-শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, সিলেট জেলায় এনটিসির অধীন তিনটি বাগান আছে। এগুলো হচ্ছে লাক্কাতুরা, কেওয়াছড়া ও দলদলি চা-বাগান। এসব বাগানে ১ হাজার ১৮০ জন শ্রমিক আছেন। এ ছাড়া বিভাগের চা-বাগানগুলোতে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। তাঁদের ওপর নির্ভরশীল আছেন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। সবাই এখন খাদ্যসংকটে ভুগছেন।
লাক্কাতুরা চা-বাগানের শ্রমিক অনিতা মুদির (৩২) স্বামী ২০২০ সালে মারা যান। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও শ্বাশুড়িকে নিয়ে তাঁর সংসার। পরিবারে দেবর ও দুই জা আছেন। অনিতা বলেন, ‘কুনু রুজি-রোজগার নাই। দেবর টুকিটাকি কাজ করে কুনুরকমে সংসার চালাইতাছে। বাইচ্ছার চাহিদা দিতে পারতাছি না।’
চল্লিশোর্ধ্ব চা-শ্রমিক সেবা গোয়ালা বলেন, তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছয়। বিকল্প পেশা না থাকায় বেতন না পেয়ে তাঁরা খুব কষ্টে আছেন। বাগান থেকে লাকড়ি কুড়িয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে কোনোরকমে ক্ষুধা নিবারণ করছেন।
[ad_2]
Source link