অন্যদিকে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকেও পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। এই সূচকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের অর্জিত পয়েন্ট ছিল ২১ দশমিক ৯। ২০২৫ সালে তা আরও কমে ২১ দশমিক ৮ হয়েছে। এই সূচকে ৩২ পয়েন্ট বা এর কম থাকতে হয়। এই সূচক জিডিপিতে কৃষি, শিল্প ও সেবার অবদান, পণ্য রপ্তানি নিবিড়তা, পণ্য ও সেবা রপ্তানির অস্থিতিশীলতা, জনসংখ্যার হার (উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে), জনসংখ্যার হার, কৃষি উৎপাদনে অস্থিতিশীলতা, দুর্যোগের শিকার—এসব উপসূচক দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। গত এক বছরে জিডিপিতে কৃষি, শিল্প ও সেবার অবদান এই উপখাত ছাড়া অন্য সূচকগুলোর উন্নতি হয়নি, আবার অবনতিও হয়নি। ওই সূচকে অবস্থা অপরিবর্তিত আছে।
এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে একটি দেশের মানমর্যাদা আরও বৃদ্ধি পায়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হয়। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারী আস্থা রাখতে পারেন। অন্যদিকে এলডিসি তালিকায় থাকলে ওই দেশকে নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় উন্নত দেশগুলো। এটি অনেকটা পরনির্ভরশীলতায় থাকার মতো বিষয়।