[ad_1]
বড় কোনও তারকা নেই দলে। তারুণ্যের ছড়াছড়ি। যেমনটা ভাবা হয়েছিল, শুরুটা হলো তেমনই। অ্যান্টিগা টেস্টে ২০১ রানে হারের দুঃখ পেতে হলো ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে। জ্যামাইকা টেস্টেও টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১৬৪ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে আরেকটি পরাজয়ের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু নজর কাড়া বোলিংয়ে নাহিদ রানা হিসাবনিকাশ পাল্টে দিলেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮ রানের লিডই সম্ভবত গড়ে দিলো ম্যাচের পার্থক্য। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটাররা উজ্জীবিত ব্যাটিং করে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। তারপর তাইজুল ইসলামের জাদুকরী বোলিং।
দুই ইনিংসে নাহিদ ও তাইজুলের ফাইফারে টানা সাত টেস্ট হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১৫ বছর পর এলো বহুল কাঙ্ক্ষিত জয়। ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা তাইজুল বললেন, ‘এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন। আমার মনে হয় আমাদের খেলোয়াড়রা সত্যিই ভালো খেলেছে। তারা অনেক নিবেদন দেখিয়েছে। তাতেই আমরা সাফল্য পেলাম। আমাদের পেস আক্রমণ ও স্পিন আক্রমণ খুবই ভালো। বিশ্বের যে কোনও দলের বিপক্ষে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’
দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতা তাসকিন আহমেদ বললেন, ‘সত্যিই খুশি লাগছে। টেস্ট ক্রিকেটে আবার ফেরা সহজ ছিল না। কাঁধে গুরুতর চোট ছিল। অনেক খাটতে হয়েছে। আশা করি আরও অনেক ভালো কিছু হতে যাচ্ছে। আমরা অনেক পরিশ্রম করছি। প্রক্রিয়া মেনে আমরা ভালো করছি। গত তিন বছরে আমাদের ফাস্ট বোলিং গ্রুপ ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে। বিসিবিও ফাস্ট বোলারদের জন্য ভালো উইকেটের চেষ্টা করছে। আশা করি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও অনেক ভালো পেস বোলার আসবে। খেলার বাইরে আমরা সবাই বন্ধু। আমরা দারুণ সময় কাটাই।’
নাজমুল হোসেন শান্তর চোটে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব পেয়ে বাংলাদেশকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বললেন, ‘আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি। দিনকে দিন উন্নতি করেছি। এই মুহূর্তে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ছেলেরা ভালো বল করেছে। নাহিদ রানা, তাসকিন ও তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ছিল। আমাদের জন্য সেরা মুহূর্ত। সবকিছুই প্রক্রিয়ার অংশ। এই পযায়ে আমাদের অনেক ফাস্ট বোলার আছে। নাহিদ, তাসকিন, হাসান ও তানজিম আছে।’
[ad_2]
Source link