[ad_1]
তাহলে কেন আজারবাইজানকে জলবায়ু সম্মেলনের আসর হিসেবে বেছে নেওয়া হলো—জানতে চাইলে স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের কণ্ঠে সহাস্য বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর ঝরে পড়ে। প্রত্যয়ের সঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘ক্লাসের দুর্বিনীতদের মনিটরের দায়িত্ব দিয়ে শোধরানোর সুযোগ দেওয়া হয়। ভেবে দেখুন, গতবার ছিল দুবাই, এবার বাকু। দুই দেশের অর্থনীতিই জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ভেসে রয়েছে।’
এই প্রত্যয় স্বতঃস্ফূর্ত হলেও বাস্তবে কতটা ফলদায়ী হতে চলেছে, সেই সন্দেহ ও সংশয় বাকুর জলবায়ু সম্মেলনের পরতে পরতে মাখামাখি হয়ে রয়েছে। গতকাল সোমবার সম্মেলন শুরুর প্রথম দিনেই তার চর্চা সর্বত্র। সম্মেলন চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন হওয়া সেই সন্দেহের মূল হলেও বাকুতে একের পর এক বৈশ্বিক নেতার অনুপস্থিতির খবরও হতাশা ছড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসছেন না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও নন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনও জানিয়ে দিয়েছেন আসতে পারছেন না। গ্লোবাল সাউথের নেতৃত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বাকু থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলেন। শোনা যাচ্ছে, সে দেশের পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবও দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন না। তাঁর ওপর গুরুদায়িত্ব পড়েছে মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বিজেপির বৈতরণি পারের। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে বাকু আসছেন পররাষ্ট্র ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। ফলে রথী–মহারথীহীন বাকু বৈশ্বিক তাপমান প্রাক্–শিল্পায়ন যুগের মতো ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখার অঙ্গীকারটুকু পর্যন্ত সগর্বে করতে পারবে কি না, সেই সন্দেহের ঢেউ তিরতির করে বইছে সম্মেলন শুরুর আগে থেকেই।
[ad_2]
Source link