[ad_1]
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের বিনা মূল্যের পেঁয়াজের বীজে চারা না গজানোর ঘটনাটিকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, রাজবাড়ীর চার হাজার কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বিনা মূল্যে তিন ধরনের পেঁয়াজের বীজ সরবরাহ করে বিএডিসি। এসব বীজ কৃষকেরা বপন করলেও অধিকাংশ জায়গায় চারা গজায়নি। এতে কৃষকেরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁরা মানববন্ধন করে প্রতিবাদও জানিয়েছেন। পেঁয়াজ বীজের জন্য বিএডিসিকে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয় কৃষি বিভাগকে। বীজ অঙ্কুরিত না হওয়ায় সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজবাড়ী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজ উৎপাদনে সারা দেশে তৃতীয় অবস্থানে রাজবাড়ী। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ১৪ শতাংশের জোগান দেয় এই জেলা। পত্রিকান্তরের খবর বলছে, শুধু রাজবাড়ী জেলা নয়, বিএডিসি এবার সারা দেশে প্রায় ৩৪ হাজার কৃষকের কাছে ৩৪ টন পেঁয়াজবীজ সরবরাহ করেছে। তাদের বিতরণ করা ৯৫ শতাংশ বীজেই চারা গজায়নি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রমাণ পেয়েছে বীজে ভেজাল ছিল। প্রণোদনার বীজ পেয়ে কৃষকের মুখে যেখানে হাসি ফুটে উঠেছিল, সেই বীজই এখন হাজারো কৃষকের জন্য দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা জমি তৈরির পরিশ্রমের সঙ্গে বীজ, সার, সেচের পেছনে তাঁদের শ্রম বৃথা গেছে।
[ad_2]
Source link