[ad_1]
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো, আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হলে নেতাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নাগরিকদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা উচিত। ২০২২ সালের একটি গবেষণায় জনতুষ্টিবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে বলা হয়েছে, বেকারত্ব বৃদ্ধি ও সামাজিক খাতে খরচ হ্রাসের মতো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সরকারের প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গিতে গভীর প্রভাব ফেলে। শুধু স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, রাজনৈতিক নেতাদের উচিত তাদের নাগরিকদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা নিয়ে ভাবা।
অনেক রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকের পরিকল্পনা শুধু বার্ষিক বাজেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং মূলত খরচ কমানোর ওপরেই জোর দেওয়া হয়। তবে বেড়ে যাওয়া খরচ, মহামারি-পরবর্তী কষ্ট এবং নানা কারণে টালমাটাল অবস্থায় পড়া নাগরিকেরা এমন নেতাদের চান যাঁরা তাঁদের আশার আলো দেখাতে পারবেন।
বাজেটের সীমাবদ্ধতাকে জনগণের উন্নত ভবিষ্যৎ তৈরি না করার অজুহাত হিসেবে নেওয়া উচিত নয়। বাস্তবে সবচেয়ে সাহসী সরকারি উদ্যোগগুলো অনেক সময় অর্থনৈতিক সংকটের সময়ই শুরু হয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে ১৯৩০-এর দশকে আমেরিকার ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের ‘নিউ ডিল’, ব্রিটেনের যুদ্ধোত্তর কল্যাণ রাষ্ট্র, ১৯৫৮-পরবর্তী দুবাইয়ের অবকাঠামোগত উন্নতি এবং ১৯৫৯-পরবর্তী সিঙ্গাপুরের দ্রুত উন্নয়নের কথা বলা যেতে পারে।
রাজনৈতিক নেতাদের এই সাহসী উদ্যোগগুলো থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে এবং তাদের নাগরিকদের হতাশার মূল কারণগুলো সমাধানে আরও বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে হবে।
● নগায়ার উডস ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের ব্লাভাটনিক স্কুল অব গভর্নমেন্টের ডিন
স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ
[ad_2]
Source link