[ad_1]
সেখানে তাঁরা একদিকে ঝুঁকে পড়া একটা দেয়াল দেখতে পেলেন। সেটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। খিজির (আ.) সেটি নিজের হাতে সোজা করে দিলেন।
মুসা (আ.) বললেন, মানুষগুলো এমন যে আমরা এলাম, অথচ তারা আমাদের না দিল খাবার, না দিল আতিথ্য। অথচ আপনি ওদের দেয়াল সারিয়ে দিলেন। আপনি ইচ্ছা করলে এর বদলে মজুরি নিতে পারতেন।
খিজির (আ.) বললেন, এখানেই আপনার আর আমার মধ্যে বিচ্ছেদ হলো। তবে যে ঘটনাগুলোতে আপনি নিজের ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি, সেসবের রহস্য আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি।
নবী (সা.) বলেছেন, আমাদের তো ইচ্ছা যে মুসা (আ.) ধৈর্য ধরলে আমাদের কাছে তাঁদের আরও অনেক বেশি খবর বর্ণনা করা হতো। সুফিয়ান (র.) বর্ণনা করেছেন যে নবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ্ মুসা (আ.)-এর ওপর রহমত বর্ষণ করুন। তিনি যদি ধৈর্য ধরতেন, তাহলে তাদের দুজনার ব্যাপারে আমরা আরও অনেক ঘটনা জানতে পারতাম।
রাবী বলেন, ইবনে আব্বাস (রা.) এখানে পড়েছেন, তাদের সামনে একজন বাদশাহ ছিল। সে প্রতিটি নিখুঁত নৌকা জোর করে ছিনিয়ে নিত। সেই ছেলেটি ছিল কাফের। তার তার মা–বাবা ছিলেন মুমিন। সুফিয়ান (র.) আমাকে বলেছেন, আমি এ হাদিসটি তাঁর (আমর ইবনে দিনার) কাছ থেকে দুবার শুনেছি, তাঁর কাছ থেকেই মুখস্থ করেছি।
সুফিয়ান (র.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি আমর ইবনে দিনার (র.) কাছ থেকে শোনার আগেই তা মুখস্থ করেছেন, নাকি অন্য কারো কাছ থেকে শুনে তা মুখস্থ করেছেন? তিনি বললেন, আমি কার কাছে থেকে এটা মুখস্থ করতে পারি? আমি ছাড়া আর কেউ কি এ হাদিস আমরের কাছে থেকে বর্ণনা করেছে? আমি তাঁর কাছে থেকে দু–তিনবার শুনেছি। তাঁর থেকে শুনেই এটা মুখস্থ করেছি।
আলী ইবনে খুশরম (র.) সুফিয়ান (র.)–এর সূত্রে বর্ণিত দীর্ঘ হাদিসটির বিবরণ দিয়েছেন।
সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৩৪০১, সুরা কাহাফ
[ad_2]
Source link