[ad_1]
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার মুক্তিযুদ্ধের এই তিন অঙ্গীকার ৫৩ বছরেও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি নাই। এখন দেশে প্রধান সমস্যা জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সংবিধান প্রণীত হবে কিনা। গণতন্ত্রের বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করা এখন প্রধান কর্তব্য।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানের জাতীয় নাগরিক কমিটি ঢাকা উত্তর মহানগর আয়োজিত থানা প্রতিনিধি সভায় লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন।
’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমরা মানুষ এমন সব ঘটনা ঘটাতে পারি যা আমাদের সার্বভৌমত্বের বহিঃপ্রকাশ। এর জন্য বলি জনগণের ইচ্ছাই যদি আইন হয়, জনগণের ইচ্ছায় যদি সরকার গঠন করে, তাহলে আমাদের দেশে গণতন্ত্র হবে। এখন গণতন্ত্রের পথে বাধাগুলো কোথায়- জনগণের ইচ্ছা প্রকাশের পথে পথে যে বাধাগুলো আছে সেগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব। দূর করা সম্ভব। এটাই হচ্ছে এখন আমাদের প্রধান কর্তব্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্যের জায়গায় বৈষম্য দেখেছে, মানবিক মর্যাদার জায়গায় মানুষের অপমান, নির্যাতন, গুম, জোরপূর্বক অপহরণ, গণহত্যা সবই ঘটেছে পর্যায়ক্রমে। এবং সব শেষে যেই জায়গায় আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে সেটা হলো ন্যায়বিচারের অভাব। মুক্তিযুদ্ধের এই তিন অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সুযোগ ৫৩ বছরে আমরা পাইনি। এবার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে আন্দোলনে। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে পারবো কিনা, পালন করতে পারবো কিনা— এই পরীক্ষার মুখোমুখি আমরা।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমরা কি সংবিধানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলাম? না! মুক্তিযুদ্ধ করার পর সংবিধান লেখার দায়িত্ব বা ক্ষমতা আমাদের এসেছিল। সেটার আমরা অপব্যবহার করেছি। এখন দেশে প্রধান সমস্যা জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সংবিধান প্রণীত হবে কিনা। সেটা একটা নির্বাচনের মাধ্যমে করতে হবে।
তরুণদের রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এই চিন্তাবিদ বলেন, দেশে যদি রাজনৈতিক ভিত্তিতে চলে তাহলে রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে। বর্তমান বিদ্যমান রাজনৈতিক দল যারা আছেন তাদের মধ্যে এক প্রকার সংশয় কাজ করছে, যে তরুণরা কী করবে? তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, দেশে যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র চান তাহলে দেশে বহু রাজনৈতিক দল থাকার প্রয়োজন আছে। কারণ ক্ষমতায় থাকা দল যদি কোনও খারাপ কিছু করে তাহলে তার সমালোচনার জন্য এইসব প্রয়োজন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ঘোষণাপত্র দিতে সমস্যা কোথায় প্রশ্ন রেখে সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেলেছেন, এখন কথা হচ্ছে তারা ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন কিনা। যে কাজটা করেছেন সেটার ঘোষণাপত্র দিতে পারবেন না কেন? ঘোষণাপত্র হচ্ছে যে কাজ করেছি তার রিপোর্ট পেশ করা। এখানে অনেকে মনে করছে, ঘোষণা করে বিপ্লব হবে। কিন্তু অনেকে বিপ্লব করেও ঘোষণা করে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান মাইমুল আহসান খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার তুষার প্রমুখ।
[ad_2]
Source link