[ad_1]
অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে তখনো আলোচনা হয়নি, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রথম আলোকে আন্দোলন বিষয়ে নিজের অনুধাবনের কথা বলেছিলেন নাহিদ। তখনকার ভয়ের পরিস্থিতিতে প্রতিবেদনটি খুব সতর্কভাবে দাঁড় করাতে হয়েছিল। কিন্তু আজ তাঁর সাক্ষাৎকারটি শুনে দেখছি, মূল কথাগুলো বাদ পড়েনি।
সেদিনও লক্ষ করেছিলাম, আজও শুনতে পাচ্ছি, নাহিদ ওই অবস্থাতেও ধীর, পরিমিত ও যুক্তিসংগতভাবে কথা বলেছিলেন। তাঁর গলায় কোনো অস্থিরতা বা ভয় ছিল না।
পরদিন খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, তিনি নিরাপদ জায়গায় সরে গেছেন। সেই জায়গাটি যে আসলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালেই ছিল, তা বুঝতে পেরেছি ২৬ জুলাই শুক্রবার যখন নাহিদ ও আরও দুজন সমন্বয়ককে সেখান থেকে ডিবির হেফাজতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেদিন আবারও সেখানে গিয়ে অনেকক্ষণ ছিলাম। নাহিদের স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন; সঙ্গী ফাতেমা ভয় করছিলেন, তাঁদেরও তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে নাহিদের মা ও ফুফু এলেন।
ঘরে ফিরলাম ছন্নছাড়া এক বিষাদ, অনিশ্চয়তা ও ভয় লেপটে যাওয়া মন নিয়ে। যখন যেমন সময় তিনি দেখেন, সাংবাদিকের মনে সেটার স্বাদ তো লেগে থাকেই।
কুর্রাতুল-আইন-তাহ্মিনা: পরামর্শক, বার্তা, প্রথম আলো
[ad_2]
Source link