Homeদেশের গণমাধ্যমেগাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত

[ad_1]

গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে কোনও চুক্তি এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আগের তুলনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে, তবে এখনও মূল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কীভাবে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো যাবে, এটাই পুরো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া দোহায় এসে শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।

সাম্প্রতিক আলোচনায় কোন কোন বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে তা স্পষ্ট করে বলেননি শেখ মোহাম্মদ। তিনি জানান, হামাস ও ইসরায়েল এখনও আলোচনার চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে মতানৈক্যে রয়েছে।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাস তাদের কাছে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি, তবে তার বিনিময়ে ইসরায়েলের গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, ইসরায়েল জিম্মিদের মুক্তি চাইলেও যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে নারাজ।

তিনি বলেন, যখন পক্ষগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন লক্ষ্য থাকে না, তখন যুদ্ধের অবসানের সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ হয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানও। তিনি জানান, হামাসের সঙ্গে তুর্কি কর্মকর্তাদের আলোচনায় ইঙ্গিত মিলেছে, গাজায় শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, একটি দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সমাধানের পথেও হামাস আগ্রহ দেখাচ্ছে। এর মধ্যে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজায় আবার অভিযান শুরু করে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর তারা জানায়, সব জিম্মি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত হামাসের ওপর চাপ বজায় থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে, এখনও ২৪ জনের মতো জিম্মি জীবিত আছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের অভিযানে গাজায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত