Homeদেশের গণমাধ্যমেগাজীপুরে টিএনজেড অ্যাপারেলসের পরিচালক গ্রেপ্তার

গাজীপুরে টিএনজেড অ্যাপারেলসের পরিচালক গ্রেপ্তার

[ad_1]

গাজীপুরের টিএনজেড এ্যাপারেলসের শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে আত্মসাৎ ও টানা তিন দিন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধে শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে জননিরাপত্তায় হুমকি ও দুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার মো. আব্দুল হালিম (৪৮) চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) নাজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাজির আহমেদ বলেন, টিএনজেড গ্রুপের কর্মকর্তা মামুনুর রসিদ গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে ১৪ ফিল্ড সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর একটি টহল দল আব্দুল হালিমকে চট্টগ্রামের বাসা থেকে আটক করে। পরে তাকে গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে বুধবার দুপুর ১টার দিকে আব্দুল হালিমকে বাসন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

তিনি আরও বলেন, আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। টিএনজেড গ্রুপের কর্মকর্তা মামুনুর রসিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় শ্রমিকদের বেতনের টাকা না দিয়ে ৫ কোটি টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। অপর একটি মামলার বাদী পুলিশ। এ মামলায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ ও কারখানা ভাঙচুরের উসকানি দিয়ে জানমাল ও সম্পদের ক্ষতি সাধন, জননিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাসন থানার ওসি মো. রাহেদুল ইসলাম বলেন, দুটি মামলায় বুধবার বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রিমান্ড শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোগরখাল এলাকার টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডের কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সোমবার রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে মানুষের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করে।

নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে টিএনজেড গ্রুপের ছয়টিসহ আশপাশের অন্তত ৪০ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব নিলে শ্রমিকরা তিন দিন পর অবরোধ প্রত্যাহার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আশপাশের অন্য কারখানাগুলো চালু হলেও গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যাসহ নানা কারণে টিএনজেড গ্রুপের কারখানাগুলো এখনও চালু হয়নি।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত