[ad_1]
পুতিন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বেড়ে ওঠেন। যে শহর তখন লেলিনগ্রাদ নামে পরিচিত ছিল। জার পিটার দ্য গ্রেট এই শহরের গোড়াপত্তন করেন। শহরটি পুরোপুরিভাবে পশ্চিমা প্রভাবাচ্ছন্ন ছিল। তবে রাশিয়ার রাজকীয় অতীতের প্রতিচ্ছবিও এই শহর।
পুতিনের একসময়ের জুডো প্রশিক্ষক আনাতোলি রাখলিনের সঙ্গে ২০০১ সালে কথা বলেছিল বিবিসি। তিনি বলেন, পুতিন ছিলেন তারকা ছাত্র। তাঁর মধ্যে অলিম্পিক দলে জায়গা করে নেওয়ার মতো সম্ভাবনা ছিল।
আনাতোলি আরও বলেন, বিজয়ী হওয়ার জন্য পুতিন ছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—শক্তি দিয়ে না পারলে কৌশলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে। প্রতিপক্ষের জন্য তাঁকে পরাজিত করা বেশ কঠিন কাজ ছিল। কারণ, তিনি বারবার কৌশল পাল্টে তাদের ঘোল খাইয়ে দিতেন।
পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাত বছর পর ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগে অবরুদ্ধ লেলিনগ্রাদে তাঁর বড় ভাই নিহত হন। সে সময় তাঁর মা-বাবা কোনোমতে বেঁচে যান।
জনাকীর্ণ একটি যৌথ ফ্ল্যাটে বেড়ে ওঠেন পুতিন। সেখানে অনেকগুলো পরিবারকে একটিমাত্র বাথরুম ও রান্নাঘর ব্যবহার করতে হতো। বসবাস করতে হতো ইঁদুর ও তেলাপোকার সঙ্গে।
পুতিন স্মৃতিচারণা করে আত্মজীবনীতে লিখেছেন বালক বয়সে কীভাবে সিঁড়িতে ইঁদুরের সঙ্গে লড়াই করতে হতো তাঁকে।
[ad_2]
Source link