[ad_1]
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে বর্ষাকালের আগেই দ্রুত এবং কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য নির্ধারিত হটস্পটগুলোতে আগামী বুধবারের মধ্যেই খননকাজ শুরু করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে হুইল স্কেভেটরসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির যে ঘাটতি রয়েছে তা দ্রুত পূরণ করতে হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা এরই মধ্যে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ব্যাকহোলোডার গাড়ি সংগ্রহ করেছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি ওয়ার্ডগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করছি।
তিনি বলেন, যেসব যন্ত্রপাতি সংস্কারের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে, সেগুলো মেরামত করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। কিছু এলাকায় রাস্তাঘাট ভাঙা থাকায় মানুষ হাঁটতে পারছে না। অনেক জায়গায় ওয়াসা রাস্তা খনন করে রেখেছে, সেখানে আমরা কাজ করতে পারছি না। কয়েক মাস পরেই বর্ষাকাল, কাজেই এই ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে যতটা কাজ করা যায় ততটা এর মধ্যে করতে হবে। সড়ক সংস্কারে ভালো মানের বিটুমিনসহ নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।
সভায় শীতকালীন মশার উপদ্রব কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মেয়র। তিনি বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মশার ওষুধ স্প্রে করতে হবে এবং পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নালা পরিষ্কারের জন্য ২০ জন করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। এ উদ্যোগের মাধ্যমে নালা পরিষ্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেমসহ পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা। সভায় নগরীর জলাবদ্ধতার ওপর মতামত দেন সমাজকর্মী শাহরিয়ার খালেদ।
এমডিআইএইচ/কেএসআর
[ad_2]
Source link