Homeদেশের গণমাধ্যমেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে এত শিক্ষার্থী ফেল করল কেন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে এত শিক্ষার্থী ফেল করল কেন

[ad_1]

আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে প্রথম শ্রেণি পাওয়ার জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে ৩ নম্বর পর্যন্ত গ্রেস দেওয়া হতো বলে জানি। গ্রেডিং পদ্ধতিতে সে ব্যবস্থা হয়তো নেই। কিন্তু পরীক্ষা কমিটি চাইলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটা সমাধানে আসতে পারে। বিষয়টি গণিত হলে হয়তো এ কথা বলা যেত না। কিন্তু সাহিত্য বা এ–জাতীয় তত্ত্বীয় বিষয়গুলোতে পরীক্ষকেরা মূলত বিষয়গতভাবে মূল্যায়ন করেন। ফলে এক পরীক্ষকের সঙ্গে অন্যজনের মূল্যায়নে তারতম্য হয়। অর্থাৎ এ বিষয়ের উত্তরে শুধু ভুল বা শুদ্ধ বিচার না করে শিক্ষার্থীর সাহিত্যবোধের মূল্যায়ন করা হয়। 

ভাবতে হবে, যে শিক্ষার্থী ৩৮-৩৯ পেয়ে ফেল করলেন, তাঁর সঙ্গে যে শিক্ষার্থী ৪০ পেয়ে পাস করলেন, তাঁর মধ্যে খুব একটা পার্থক্য করা যায় কি না। কিংবা যে শিক্ষার্থী ৫৯ নম্বর পেয়ে বি মাইনাস পেলেন, তাঁর সঙ্গে ৬০ নম্বর পেয়ে বি পাওয়া শিক্ষার্থীর পার্থক্য কতটুকু, বিশেষত সাহিত্য ও তত্ত্বীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে? 

এসব বিষয় মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের মতো গ্রেস নম্বর দেওয়ার অধিকার পরীক্ষা কমিটিকে দিতে পারেন। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হলে শিক্ষার্থীরা চ্যালেঞ্জ বা আপিল করতে পারবেন না কেন? এ ক্ষেত্রে যুক্তি হচ্ছে, উত্তরপত্রে দুই পরীক্ষকের নম্বরের তারতম্য হলে তা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ব্যবধান হতে হবে অন্তত ১৫ নম্বর। যেখানে এক-দুই নম্বরের জন্য ভাগ্য নির্ধারিত হয়, সেখানে তৃতীয় পরীক্ষকের ওপর নির্ভর করা কতটা কার্যকর? 

বিশ্বজিৎ চৌধুরীপ্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক, কবি ও সাহিত্যিক

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত