[ad_1]
স্বাদুপানির অধিকাংশ মাছ পাওয়া যেত বলে একসময় চলনবিলকে ‘মৎস্যখনি’ নামে ডাকা হতো; কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিলের আয়তন যেমন কমেছে, তেমনি বর্ষা ছাড়া অন্য মৌসুমে অথই জলরাশির দেখা মেলে না। আগের মতো মাছ আর নেই। এভাবে মাছ বিলুপ্ত হতে দেখে এগিয়ে এসেছেন এক ব্যক্তি, যাঁর প্রচেষ্টায় তিন জেলাজুড়ে বিস্তৃত বিলটির মাছ রক্ষায় সরকারও উদ্যোগী হয়েছে।
দুই যুগ আগের কথা। পাখির আশ্রয় ও খাদ্য নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত হন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা যশোধন প্রামাণিক। তাঁর উদ্যোগে সাড়া দিয়ে পাখির জন্য লোকালয় ও উন্মুক্ত জলাধারের আশপাশে গাছ লাগানো শুরু হয়। লোকালয়ের গাছপালায় পাখির জন্য মাটির হাঁড়ি বাঁধা, খাদ্য ও পানি সরবরাহ করার মতো কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়।
এরপর পাখির পাশাপাশি দেশি মাছ কীভাবে রক্ষা করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন যশোধন। প্রথমেই তাঁর মাথায় আসে চলনবিলের কথা। ভাবনা অনুযায়ী বিলের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেন। সংগৃহীত তথ্য–উপাত্ত নিয়ে দ্বারস্থ হন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে। দেশি মাছ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং এ জন্য প্রকল্প প্রণয়নে সরকারের কাছে সুপারিশ তুলে ধরেন।
[ad_2]
Source link