Homeদেশের গণমাধ্যমেচাঁদপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হলেন সেলিম

চাঁদপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হলেন সেলিম

[ad_1]

শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে আলো ছড়ানোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবার চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষকের সম্মাননা পেলেন সরকার মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বর্তমানে শহরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে তার হাতে এ সম্মাননা স্মারক ও কৃতিত্বের সনদ তুলে দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ।

এতে শিক্ষার্থীরা উল্লাস প্রকাশ করে বলেন, ক্লাসে অনেক সময় পড়ায় একঘেয়েমি লাগলেও সেলিম স্যার যখন বাংলা বিষয়ে ক্লাস নেন, কখনোই আমাদের এক ঘেয়েমি মনে হয় না। স্যার হাসির ছলে পাঠদান করেন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া আদায় করে নেন। ক্লাসে দুর্বল শিক্ষার্থীরাও যেন স্যারের আন্তরিকতাময় পড়ার জাদুতে মেধাবী হয়ে ওঠে। সেলিম স্যারের এমন সাফল্যে আমরা তার শিক্ষার্থী হয়ে আনন্দে উৎফুল্লতা প্রকাশ করছি।

জানা যায়, সরকার মোহাম্মদ সেলিম ২০০১ সালে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত হন। সে হিসেবে তিনি শিক্ষকতা জীবনে প্রায় দুই যুগ অতিবাহিত করছেন। ২০০৬ সালে চাঁদপুরের সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় যোগদানের মাধ্যমে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন। তবে চাকরি জীবনে এবারই তিনি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষকের মর্যাদা পেলেন।

আরও জানা যায়, চাঁদপুর সদরের ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের সরকার বাড়ির ছেলে সরকার মোহাম্মদ সেলিম। তার পিতা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন সরকার ও মাতা শাহানারা বেগম। সংসারে ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে তিনি ৩য় সন্তান। বর্তমানে তার দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।

এক সাক্ষাৎকারে নিজের পাঠদান করা বাংলা বিষয় নিয়ে সরকার মোহাম্মদ সেলিম কালবেলাকে বলেন, আমি বাঙালি এবং বাংলায় কথা বলি। গঁদ বাঁধা মুখস্থের কোনো বিষয় না থাকায় নতুন কারিকুলামের শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলা পড়িয়ে ভালো লেগেছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীর মাঝে আনন্দঘন পরিবেশে এই শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বুঝে বুঝে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরও দক্ষ হচ্ছে এবং এভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।

জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করায় সরকার মোহাম্মদ সেলিম আরও বলেন, শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় আত্মনিয়োগের মাধ্যমে আমি যেন মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে অবদান রেখে দেশের সেবা করতে পারি। সেজন্য এ ধরনের স্বীকৃতিতে আমার মনোবল দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি কাজে আরও উদ্যোমী হতে আরও অনুপ্রেরণা পেলাম। আমার জন্য দোয়া চাই, জেলা পর্যায়ের এ ধারা যেন বিভাগীয় পর্যায়েও অব্যাহত রাখতে পারি।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলায় এবার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৯৬ জন শিক্ষককে পুরস্কার দেওয়া হয়।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত