[ad_1]
মাসুদ রানাকে সোমবার রাত দুইটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আর নাদিম ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা যান। এ ঘটনায় মোহাম্মদ টনি (২৯) নামের আরও এক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছে। তিনি এখনো কিছুটা অসুস্থ।
চিকিৎসাধীন টনি নিমপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
মোহাম্মদ টনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মোটরসাইকেল না থাকায় মাসুদ রানার ভ্যান রিজার্ভ করে এলাকায় চলাফেরা করতেন। আর নাদিম ইসলাম ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ইয়াং জেনারেশন সবাই শখ করে খায়। তাই রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মাসুদ রানা, নাদিম ও মেহেদীর সঙ্গে যান। মেহেদী তাঁকে ছোটবেলা থেকে মামা বলে ডাকেন। খুবই কাছের। এই চারজন উপজেলার ঝিকরা গ্রামের মামুন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে যান। টনি বলেন, ‘আমি সামান্য একটু খেতেই শরীর ঝিমঝিম করে ওঠে। আর বেশি খাইনি। কিন্তু নাদিম ও মাসুদ রানা বেশি পরিমাণে মদ পান করে।’ তিনি বলেন, খারাপ লাগার কারণে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে সোফায় বসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বমি করে সব তুলে ফেলেন। শরীর খারাপ ও ঘুমিয়ে থাকার কারণে সোমবার বিছানা থেকে উঠতে পারেননি।
মোহাম্মদ টনি আরও বলেন, তাঁর ধারণা, মদ্যপানের কারণেই তাঁর শরীর খারাপ হয়েছে। মাসুদ ও নাদিম মদ্যপানের কারণেই মারা গেছেন। নাদিমকে কবর দেওয়ার সময় থাকতে পারেননি বলে তিনি কান্নাকাটি করেছেন। তিনি এখন চারঘাট উপজেলা থেকে সব ধরনের মাদক নির্মূলের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
[ad_2]
Source link